মঙ্গলবার সিলেটে বাংলাদেশ-সিশেলস ফিফা প্রীতি ম্যাচ শেষে মাঠের ভেতরেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের ফুটবলাররা সিশেলসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণ করেছেন। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তপু বর্মনের সঙ্গে সিশেলসের ফুটবলারের মধ্যে তর্কাতর্কি ধাক্কাধাক্কির মধ্যে গড়ায়। ফিফার র্যাংকিংয়ে সিশেলস ১৯৯। বাংলাদেশ ১৯২ নম্বরে। সিশেলস অতিথি। দুই ম্যাচ খেলতে এসেছিল। বাংলাদেশের কাছে তারা মেহমান। সেই দেশের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে পারেনি বাংলাদেশ। না পেরে ওদের সঙ্গে আসদাচরণ করেছেন খেলোয়াড়রা। যারা মাঠে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন তারা অনেকেই খেলা শেষ হওয়ার আগেই চলে গেছেন ইফতার করবেন বলে। আর যারা শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন তারা অনেকেই দেখেছেন অতিথি দলের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়েছে। টিভির পর্দায় দেখা গেছে ভুটানিজ রেফারিরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশে বিদেশি কোচিং স্টাফও দৌড়ে মাঠে ঢুকে তার খেলোয়াড়দের নিবৃত করার চেষ্টা করছেন। সাইড বেঞ্চ থেকে দৌড়ে মাঠে ঢুকে ফুটবলার বিশ্বনাথ ঘোষ জটলার মধ্যে সিশেলসের ফুটবলারের মুখে আঘাত করেন। বিশ্বনাথ কেন সাইড লাইন থেকে মাঠে ঢুকে এমন আচরণ করলেন। ম্যানেজার ইকবাল হোসেন প্রথমে বললেন, ‘মারামারি হয়নি। তপু এবং ওদের (সিশেলস) মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছে। মারামারি হয়নি।’ টিভির পর্দায় যা দেখা গেল সবই কি ভুল ? ইকবাল পালটা প্রশ্ন করলেন মারামারি দেখলেন কোথায় ? বিশ্বনাথ দৌড়ে গিয়ে কী করল? এমন প্রশ্নে ইকবাল বললেন, ‘হ্যাঁ বিশ্বনাথ কাজটা ঠিক করেনি।’
বাংলাদেশ-সিশেলস ম্যাচের ম্যাচ-কমিশনার ছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। তিনি জানিয়েছেন, ভুটানিজ রেফারি একটা রিপোর্ট দিয়েছে। সেখানে এ বিষয়গুলো উল্লেখ রয়েছে। ম্যাচ শেষে কী হয়েছে সেগুলো বলা হয়েছে। আমিও একটা রিপোর্ট দেব। বিশ্বনাথ সাইড লাইন থেকে দৌড়ে মাঠে কী করেছে সেটি রেফারি দেখেছেন।’
বিশ্বনাথের এমন ঘটনা নতুন নয়। সাফে লালকার্ড দেখেছেন। দেশের ক্ষতি করেছেন। ক্লাব ফুটবলেও বিশ্বনাথের আচরণ ফুটবল সংশ্লিষ্টদের জানা, খেলা পরিচালনাকারী রেফারিদের জানা। বিশ্বনাথ মাঠে থাকলে একটা উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করেন। বার বার অহেতুক রেফারির দিকে তেড়ে যান। বিশৃঙ্খলা করেন। সাবেক ফিফা রেফারি ইব্রাহিম নেসার বললেন, ‘আমরা যখন খেলা পরিচালনা করেছি তখনো দেখেছি মাঠে কিছু খেলোয়াড় থাকে তারা সমস্যা তৈরি করেন। আমরা কিংবা আমাদের রেফারিরা মাঠে নামার আগে এসব জেনেই বাঁশি বাজাতে নামেন।’