বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ আসছে আগামী সাফে। আসন্ন সাফে আশিয়ান দেশ খেলতে আসবে। সাফের সিদ্ধান্ত হয়েছে আশিয়ান কোনো দেশকে নেওয়া হবে। আর এই খবর বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য খারাপ একটি খবরই বটে। কারণ সিশেলসের মতো দেশের সঙ্গে লড়াই করে না পারা বাংলাদেশের ফুটবলাররা যখন মাথা নিচু করে ফিরে আসে তখন ধরেই নেওয়া যায় জামাল ভুঁইয়ারা কোনো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে পেরে উঠবে না।
গতকাল সাফের মিটিং হয়েছে। সেখানে সাফের আলোচনায় উঠে এসেছে আগামী সাফের পরিকল্পনা। সাফে শুধু সাফের দেশগুলোই খেলে থাকে। কিন্তু এবার শ্রীলঙ্কা খেলতে পারবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ শ্রীলঙ্কার ওপর ফিফার সাসপেনশনে রয়েছে। এই সাসপেনশন প্রত্যাহার না পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক ফুটবলেও খেলতে পারবে না। কিন্তু সাফ তো আর বসে থাকতে পারে না। সাফের সভায় আলোচনা করে শ্রীলঙ্কাকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে এন্ট্রি দিতে হবে। এই তারিখের পর সাফ তার ফিকশ্চার গ্রুপিং করবে।
সাফের নীতি নির্ধারকরা ধরে নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা আসতে পারবে না। বিকল্প ভাবনা হচ্ছে অন্য কোনো একটি দল নেওয়া। সাফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল, তারা সাফের খেলাটাকে আরো আকর্ষণীয় করতে শক্তিশালী আরেকটা দলকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, ওয়েস্ট এশিয়া কিংবা আশিয়ান কোনো দেশকে নেওয়া হবে।
থাইল্যান্ডকে নেওয়ার কথা উঠলেও সেটি আলোচনায় হারিয়ে যায়। তবে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম রয়েছে। তাজিকিস্তান, আফগানিস্তানও আসতে পারে। তবে আফগানিস্তান ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় সাফে খেলেছিল। ২০১৩ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফে আফগানিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়ে জানিয়ে দিয়েছিল তারা আর সাফে খেলবে না। ২০১৫ সালে শেষ বার সাফে খেলে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। ধারণা করা হচ্ছে আফগানিস্তানকেও আবার ডাকা হতে পারে। কোনো কিছুই নিশ্চিত না বলে জানিয়েছেন হেলাল।
সাফ টার্গেট করছে ভারতের চেয়ে বেটার র্যাংকিংয়ের দেশকে আনবে। এমনটাই যদি হয় তাহলে সেটি বাংলাদেশের জন্য সুখকর হবে না। বাংলাদেশ এমনিতেই সাফে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। কদিন আগে সিলেটে সিশেলসের কাছে যেভাবে হারল তাতে জামাল ভুঁইয়াদের ওপর আস্থা নেই। তারা বারবার সাফে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন যদি ভারতের চেয়ে শক্তিশালী দল সাফে খেলতে আসে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ কি করবে কে জানে। আগাম কোনো কিছুই বলা যায় না। তবে জামাল ভুঁইয়াদের পারফরম্যান্স বলে দেয় সাফে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আরো কমে যাচ্ছে। আগামী ২১ জুন শুরু হবে সাফ আর শেষ হবে ৪ জুলাই। খেলা হবে ব্যাঙ্গালুরুতে।