শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

রাজশাহী চিড়িয়াখানায় ডিম পেড়েছে ঘড়িয়াল

আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:২৪

প্রায় ৩৫ বছর আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় দু’টি নারী ঘড়িয়াল ছিল। তাই প্রজননের কোনো আশা ছিল না। পরবর্তীতে ঘড়িয়ালের বংশবিস্তারের বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট একটি স্ত্রী ঘড়িয়াল ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে একটি পুরুষ ঘড়িয়াল রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় নারী ঘড়িয়ালটির নাম ‘পদ্মা’ এবং পুরুষ ঘড়িয়ালটির নাম রাখা হয় ‘গড়াই’।

কয়েকদিন যেতে না যেতেই পুরুষ ঘড়িয়াল ‘গড়াই’য়ের সঙ্গে নারী ঘড়িয়াল ‘পদ্মা’র বেশ ভাব তৈরি হয়। এতে বিলুপ্তপ্রায় ঘড়িয়ালের বংশবিস্তার নিয়ে আশা জাগে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। এরপর প্রায় সাড়ে ৫ বছর পার হলেও ঘড়িয়ালের বংশবিস্তার হয়নি।

তবে আশার কথা হচ্ছে, দুই সপ্তাহ খানেক আগে নারী ঘড়িয়াল ‘পদ্মা’ আবার ডিম দিয়েছে। এ জন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যানে প্রজনন উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। গেল বছর পানিতে বেশ কয়েকটি ডিম দিলেও শেষ পর্যন্ত তা থেকে বাচ্চা ফোটানো যায়নি। তাই নতুন করে আবার ডিম পাড়ায় সেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা ঘরিয়ালদের খাবার দিতে গিয়ে পানিতে কয়েকটি ভাঙা ডিম দেখতে পান। তারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে সেখান থেকে ৮টি ডিম উদ্ধার করা হয়। পরে ডিমগুলো বাচ্চা ফোটানোর জন্য বালুতে পুঁতে রাখা হয়েছে।

রাজশাহী ‘শহীদ কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ফারহাদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জু’টি বাঁধার পর সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে দু’বার ডিম দিয়েছে নারী ঘড়িয়াল। তবে বাচ্চা ফোটেনি। কিন্তু, এবার ডিমগুলো বালুতে পুঁতে রাখায় প্রজননের ব্যাপারে আশাবাদী তারা। 

জানা যায়, কুমির জাতীয় প্রাণীর মধ্যে ঘড়িয়াল দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রজাতি। বন্য পরিবেশে এরা ৫০ থেকে ৬০ বছর বাঁচে। সারা পৃথিবীতে এখন ঘড়িয়াল আছে ২০০ টিরও কম। বালুর তাপে ঘড়িয়ালদের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। আর তাদের বাচ্চা ফুটতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে।

ইত্তেফাক/পিও