বাগেরহাটের মেয়ে সুপর্ণা রহমান টুছি। ছোটবেলা থেকেই ঘোরাঘুরি পছন্দ তার। বাবার সাথে ছুটে যেতেন দেশের নানা প্রান্তে। মাধ্যমিকের ইতি ঘটে নিজ জেলায়। পরে পারি জমান বরিশালে। সেখানেই ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ করেন গ্রাজুয়েশন, মেধা তালিকায় হন তৃতীয়। বর্তমানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কর্মকাণ্ডে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সাফল্যের ঝুলিতে যোগ হয়েছে নানা অর্জন। যা হতে পারে অন্য নারীর জন্য অনুপ্রেরণা।
শখের বসেই করতেন লেখালেখি, ফটোগ্রাফি ও সাংস্কৃতিক চর্চা। এরই ধারাবাহিকতায় একই সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহ-সভাপতি মনোনীত হন টুছি।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনার্স জীবনে বেশ কয়েকটি ক্লাবের সাথে কাজ করেছি। ডা. এড্রিক বেকার ব্লাড ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে যার হাতেখড়ি। এছাড়াও বিডি ক্লিন, ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও পাবলিক হেলথ ফটো কনটেস্ট প্রকল্পে সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছি।’
২০২১ সালে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ছবি প্রতিযোগিতায় তার দুটি ছবি বিজয়ী হয় এবং ২০২২ সালে ন্যাশনাল জার্নালিজম ফেস্টে সেরা ফিচার প্রতিবেদকও নির্বাচিত হন তিনি। শুধু সংগঠক নন তিনি, খেলাধুলাতেও সমান পারদর্শী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ছিলেন টিম ম্যানেজার। তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২২ সালের বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টসে ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। এছাড়াও ভিডিও প্রযোজনা, সিনেমাটোগ্রাফার, বইয়ের সহ-গ্রন্থনা ও সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
সুপর্ণা রহমান বলেন, ‘তারুণ্যের সময়টা হচ্ছে নিজেকে প্রস্তুত করার। কঠোর পরিশ্রম ও রুটিন মাফিক কাজের মাধ্যমে সবকিছুতে তাল মেলাতে পেরেছি। ক্যাম্পাসে ছয় ঋতুতে ছয় ধরনের ভিডিও তৈরি করি। বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টারিও বানিয়েছি। তা ফেসবুক দিলে, ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাই।’ বর্তমানে তিনি মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। যোগ দিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সায়েন্সেস ক্লাবে।