শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

রাস্তা নয় যেন ভাগাড়, সংস্কারের দাবি ভুক্তভোগীদের

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৩৯

বরিশালের বাকেরগঞ্জ ১৩ নম্বর পাদ্রিশিপুর ইউনিয়নের মানুষের চলাচল ও যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কানকি ব্রিজের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু হয়ে এম. এ. মালেক ডিগ্রি কলেজ ভায়া মাধবখালী ইউনিয়নের শেষ মাথা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ কাঁচা-পাকা সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

দেখা গেছে, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও কয়েকটি হাট, বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।

চলাচলের অনুপযোগী সড়ক। ছবি: ইত্তেফাক  

সরেজমিনে জানা যায়, এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে কালিগঞ্জ হাট, কাঁঠালতলির হাট, বিসমিল্লাহর হাট, কানকির হাট, গাজীর হাট, নুরনাগর বাজার, নান্টু বাজার, এমপির হাট, চেয়ারম্যান হাট, শিবপুর পাবলিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়,পারশিবপুর কাটাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি বিদ্যালয়, আমেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুল গণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেগম জহুর উদ্দিন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছলেমউদ্দিন  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট রঘুনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এম.এ. মালেক ডিগ্রি কলেজ, রসুলপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ছোট রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পশ্চিম রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভরসা রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এস আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সালে হিয়া দাখিল মাদ্রাসা, নেহাল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টেংরাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কে. এম. সহিদুল ইসলাম টেকনিক্যাল বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজ, চৈতা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চৈতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চৈতা ফাজিল মাদ্রাসা, চৈতা দরবার শরীফ, কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আকতার হোসেন চৌধুরী মেমোরিয়াল কলেজ সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও ব্যাবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণ।

চেয়ারম্যান হাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কমল হোসেন বাচ্চু জানান, রাস্তাটা আর রাস্তা নেই। ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যারা এ রাস্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন হাট কিংবা বাজারে যারা ব্যবসা করতো তারা মালামাল পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন আবার কেউ কেউ উপজেলা শহরে ব্যবসা নিচ্ছেন বিধায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত রাস্তাটির পুনঃ সংস্কার করে যোগাযোগ ও অবাধে চলাচলের উপযোগী করবেন বলে আশাকরি।

চলাচলের অনুপযোগী সড়ক। ছবি: ইত্তেফাক
 
ছোট রঘুনাথপুরের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ হাওলাদার জানান, অনেক কষ্টের মাঝেও গ্রামবাসী মিলে রাস্তায় মাটি দিয়ে সংস্কার করলেও প্রতিবছর বিভিন্ন জায়গা দিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। আবার গ্রামবাসী মিলে কোনভাবে সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হলেও যাতায়াতের চাপে এবং ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ও অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তাটি ভেঙে যায়। খুব বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে ওঠে। এতে ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হাতে হয় সাধারণ মানুষকে।
 
এম এ মালেক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শামিম আহম্মেদ বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আমার কলেজসহ কয়েকটি স্কুলের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী আসা-যাওয়া করে কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকতে অনিহা প্রকাশ করছে বিধায় রাস্তাটি পূর্ণনির্মাণ অথবা সংস্কার করা অতীব জরুরি।

১৩ নম্বর পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান (বাবু) জানান, এ রাস্তাটি নির্মাণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। জনস্বার্থে এ যোগাযোগ অব্যাহত রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তা পুনঃনির্মাণ কিংবা সংস্কারের চেষ্টা করা হবে। 

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবুল খায়ের মিয়া জানান, রাস্তাটির যাবতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষে উপজেলা অফিস থেকে যাবতীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট প্রধান দপ্তরে পাঠান হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু করা হবে।

ইত্তেফাক/পিও