বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দিল্লিতে কুস্তিগিরদের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:১৪

যৌন হয়রানির অভিযোগে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের (ডব্লিউএফআই) প্রধানের পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবিতে আবারও দিল্লিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দেশের শীর্ষ নারী কুস্তিগিররা। দুই দিন বিলম্বের পর অবশেষে দিল্লি পুলিশকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নোটিশ জারি করল দেশের সুপ্রিম কোর্ট। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের শীর্ষ নারী কুস্তিগিররা দ্বিতীয়বারের মতো দিল্লির জন্তরমন্তরের সামনে অবস্থান নেন। এর আগে গত জানুয়ারিতে একই অভিযোগে অবস্থান নেন তারা। এ সময় উচ্চ পর্যায় থেকে তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারতের শীর্ষ নারী কুস্তিগিররা দ্বিতীয়বারের মতো দিল্লির জন্তরমন্তরের সামনে অবস্থান নেন।

কিন্তু এতদিন পরেও কোনো কাজ না হওয়ায় এবং থানায় ডব্লিউএফআই প্রধানের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের না হওয়ায় তারা আবার আন্দোলন শুরু করেন। কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসে ভারতের হয়ে প্রথম নারী হিসেবে স্বর্ণ পদক জয়ী বিনেশ পোগাত এই আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।

তিনি বলেন, 'এবার আমরা কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করব না। গতবার আমরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। আমরা আশা করি, এবার এ বিষয়ে কোনো রাজনীতি হবে না।'

স্বর্ণ পদক জয়ী বিনেশ পোগাত

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এবার তারা খালি হাতে বাড়ি ফিরবেন না। তাদের দুটি দাবি রয়েছে। এক, ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণের পদত্যাগ এবং দ্বিতীয়ত, তার গ্রেফতারি। যেকোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলে এই আন্দোলনে যোগ দিতে পারবেন।

এই আন্দোলনের সময় জানুয়ারিতে মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আরেক কিংবদন্তি অ্যাথলিট মেরি কমকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ফলে আন্দোলনকারীরা কাউকে বিশ্বাস করতে চান না।

কিংবদন্তি অ্যাথলিট মেরি কমকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট এই আদেশ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি পুলিশকে সাতজন অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর শোনার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ২৮ এপ্রিল শুনানির নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, অভিযোগকারীদের নাম প্রকাশ করা যাবে না।

ইত্তেফাক/ডিএস