সুদানে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি রয়েছে। তারপরও দেশের বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। ১৫ এপ্রিল সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এ পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানী খার্তুমের নিকটবর্তী একটি শহর থেকে বিবিসির এক প্রতিবেদক জানান, টেলিভিশন ও রেডিও ভবনের কাছে লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে। জ্বালানি নেই, চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। তাছাড়া খাদ্য ও অর্থের চরম ঘাটতি রয়েছে। এদিকে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হবে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল)।
তাই সুদানের সেনাপ্রধান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। চলমান সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন খার্তুম ও ওমদুরমানের বাসিন্দারা। কারণ তারা বিশুদ্ধ পানি ও খাবার পাচ্ছে না। নগদ টাকার অভাব রয়েছে।
এই ঘটনার ফলে ইতোমধ্যে অনেক বিদেশী নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব লড়াই থামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, জাতিসংঘ সুদান ছাড়বে না। সংগঠনটি সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
গুতেরেস বলেন, 'জাতিসংঘ সুদান ছাড়বে না। শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য সুদানের জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার। এই দুঃসময়ে আমরা তাদের পাশে আছি।'