উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্টফোন খাতে অবদানের জন্য সম্প্রতি দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে অপো। এডিসন বেস্ট নিউ প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩ এয়ার ক্যাটাগরিতে 'অপো এয়ারগ্লাস' সিলভার পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া বিজনেস মিডিয়া ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত এ বছরের এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো।
গত ২০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এই অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পণ্য, ডিজাইন এবং প্রযুক্তি তিনটি ক্ষেত্রে স্বীকৃতি প্রদানকারী বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি এডিসন অ্যাওয়ার্ডস, যা বিখ্যাত উদ্ভাবক টমাস এডিসনের সম্মানে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
উদ্ভাবনী ডিজাইন ও নিজস্ব প্রযুক্তির জন্য অপো এয়ার গ্লাস এই প্রতিযোগিতায় সিলভার জিতে নিয়েছে। অপোর এই এয়ার গ্লাস বিশ্বের প্রথম ডিট্যাচেবল মনোকল এআর গ্লাস। এর ওজন মাত্র ৩০ গ্রাম, যার ফলে অনেক আরামদায়ক ও সারাদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক। ডিভাইসটিতে অপোর স্পার্ক মাইক্রো প্রজেক্টর, অত্যাধুনিক মাইক্রো এলইডি এবং ডিফ্র্যাকশন অপটিক্যাল ওয়েভগাইড ডিসপ্লেসহ বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে অপো এয়ার গ্লাসে নোটিফিকেশন, নেভিগেশন, টেলিপ্রম্পটার এবং রিয়েল-টাইম অনুবাদের মতো ফিচার ব্যবহার করা যাবে।
২০২১ সালে উন্মোচিত এয়ার গ্লাসটি গত বছর 'রেড ডট ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড' এবং 'আইএফ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড' অর্জন করে। সবার জন্য সেরা প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অপো গত বছরের ইনো ডে ২০২২ ইভেন্টে এই ডিভাইসের একটি আপগ্রেডেড সংস্করণ, এয়ার গ্লাস-২ উন্মোচন করে। এটি ব্যবহারকারীর আরও বেশি স্মার্ট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।
এছাড়া ফাস্ট কোম্পানির প্রকাশিত এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর (২০২৩) তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো। ফাস্ট কোম্পানির সম্পাদকীয় দল প্রতি বছর বিভিন্ন বিভাগে সেরা উদ্ভাবক নির্বাচন করতে শত শত কোম্পানির উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মূল্যায়ন করে থাকে।
অপোর ব্যাটারি হেলথ-ইঞ্জিন একটি সিস্টেম-লেভেল ব্যাটারি হেলথ অপ্টিমাইজিং সলিউশন। লিথিয়াম-আয়ন ডেড লিথিয়ামের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি। অপোর এই ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন ১৬০০টি চার্জ সাইকেলে ব্যাটারির সক্ষমতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বজায় রাখতে পারে।
প্রসঙ্গত, ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ মূলমন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যবহারকারী-বান্ধব উদ্ভাবন নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে অপো।