শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যমুনার চরে গরু-মহিষের বাথান, সহজেই মেলে পানি-ঘাস

আপডেট : ১১ মে ২০২৩, ১০:০৩

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর বুক জুড়ে জেগে ওঠা চরে ঘাস খাওয়ানের জন্য মহিষ ও গরু নিয়ে জমায়েত হয়েছে রাখালরা। চরে গোখাদ্য অর্থাৎ তৃণভূমি থাকায় প্রতি বছরই ভ্রাম্যমাণ বাথানগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একত্রিত হয়ে মহিষ ও গরু ঘাস খাওয়ানের জন্য  যমুনার চরে নিয়ে আসে।

চরে গজিয়ে ওঠা সবুজ ঘাস দিয়ে মহিষ ও গরুর খাদ্যের জোগান দিচ্ছেন রাখাল, দুগ্ধ ব্যবসায়ী ও ঘোষালরা।

বিশাল এলাকার নিয়ে অবস্থিত এই বাথানগুলোর এক প্রান্তে নদী রয়েছে, যা খামারিদের জন্য মহিষ ও গরুগুলোর পানি পান করা ছাড়াও গোসল করানোর সুবিধা পাচ্ছে। তাদের বাথানে বিভিন্ন প্রজাতির মহিষ ছাড়াও গরুর বিভিন্ন জাত রয়েছে। এদের মধ্যে মানিকগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুর জেলা থেকে একত্রিত হয়ে এনায়েতপুর থানার আওতাধীন ঘাটাবাড়ী, উতুলি, বাঐখোলা, মালিপাড়া, নওহাটা, তেগুরী, গোসাইবাড়ী, কুচেমোড়া, কাজীপুরের তেকানীসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চরে এই সব বাথানে প্রায় ৪০০ ছোট বড় মহিষ ছাড়াও কয়েকশ গরু রয়েছে।

গরু ও মহিষের রাখাল হালিম বলেন, আমার ৫০টি মহিষ রয়েছে। আমার মতো অনেকে একসঙ্গে এসে এখানে মহিষ ও গরুগুলো খাওয়াচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় ঘাস কম থাকায় এখানে এসেছি। প্রায় ছয় মাস এখানে অবস্থান করছি। আগামী বর্ষা মৌসুমে যার যার এলাকায় চলে যাব।

অপর রাখাল আমজাদ হোসেন বলেন, এখানে নদী কাছে হওয়ায় এবং সবুজ ঘাস বেশি হওয়ার কারণে খামার পরিচালনা করতে খুব সহজলভ্য হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানকার লোকজন অনেক ভালো। আমাদের খুবই সাহায্য সহযোগিতা করছে। প্রতি বছর এই সময়ে আমরা এখানে গরু ও মহিষ নিয়ে আসি। ভবিষ্যতেও আসব।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, প্রতি বছরই সিরাজগঞ্জে যমুনার চরে গজিয়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাওয়ানোর জন্য পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে বাথানিরা গবাদিপশু নিয়ে আসে। বর্ষা মৌসুমে চরগুলোতে পানি ওঠার আগেই তারা আবার নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যায়।

ইত্তেফাক/আরএজে