বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শাল্লায় সুপেয় পানির সংকটে এলাকাবাসীর ভোগান্তি!

আপডেট : ১১ মে ২০২৩, ১৫:৪১

গ্রীস্মকাল শুরু হতেই না হতেই সুনামগঞ্জের শাল্লায় খরা (শুষ্ক) মৌসুম শুরু হতেই সমতল সব জায়গায় বিশুদ্ধ পানির সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য অফিস। উপজেলার চার ইউনিয়নের বেশ এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচের দিকে নামছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় পাঁচ টিউবওয়েল আছে। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার টিউবওয়েল অগভীর। যে টিউবওয়েলে পানির সমস্যা সেগুলো বেশিরভাগই হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন। শাল্লায় সরকারিভাবে সাব-মার্সিবল পাম্পযুক্ত গভীর নলকূপের প্রজেক্ট না থাকায় একটি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রাশেদুল ইসালাম বলেন, অতিরিক্ত তাপদাহে ও সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ভূ-গর্ভস্থের পানির স্থিতি নিচে নেমে যাওয়ার কারণে হস্তচালিত অগভীর নলকূপগুলোতে বিশুদ্ধ পানি আসে না। এসমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য সাব-মার্সিবল পাম্পযুক্ত গভীর নলকূপ স্থাপন করতে হবে। যার যে টিউবওয়েলের সমস্যা আমাদেরকে জানাচ্ছেন আমরা সেগুলো মেরামত করে দিচ্ছি।

বাহাড়া ইউনিয়নের নেপাল ঋষি বলেন, মাস খানেক ধরে কলের পানি কম উঠে। কিছু কিছু সময় পানি পাওয়াই যায় না। পরে আমরা খাবার পানির জন্য সরকারি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে হয়। আগে এই সমস্যা হইছে না।

হবিবপুর ইউনিয়নের নয়নতারা বলেন, বাবারে এক কলসি পানি বুড়াইতে আত (হাত) ভাইঙ্গা আনে। বেশি চাপাইলে আবার কলের ভেতরের লেদার যায়গা। খাইবার পানির খুব সমিস্যায় আছি। আমরার হাডির(গ্রামের) কয়েকটা কলই ইলাখান।

শাল্লা ইউনিয়নের আজাদ বলেন, এই সময়ে টিউবওয়েলের পানির মারাত্মক সমস্যা। আল্লাই জানে এত পানি কই গেল। এই সময়ে নদীতেও পানি বেশি থাকার কথা কিন্তু পানি কম।

আটগাঁও ইউনিয়নের ফুরকান মিয়া বলেন, খরা শুরুর পর থেকেই কিছু অগভীর নলকূপে পানির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বর্ষাকাল হলে আবার এই সমস্যা থাকে না। বর্তমানে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করলে পাবলিকের পানি ব্যবহারে সুবিধা হতো।

ইত্তেফাক/আরএজে