বরিশালে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার সকল নির্বাহী কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে যাবতীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলায় ৫৪১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া নগদ ৯ লাখ টাকা ও ৮৯০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ রয়েছে।
জানা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বার্তায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বার্তায় দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা‘ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) জানিয়েছে, তারাও ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা‘ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন। এজন্য বরিশাল বিভাগে ৩২ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে।
বরিশালের আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। এটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। বরিশাল নদী বন্দরে এখন পর্যন্ত কোনো সতর্কবার্তা নেই। তবে পূর্ব সর্তকতায় আবহাওয়া অফিসের সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।