বরিশালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর পিস্তল ঠেকিয়ে অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে চার জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৪ মে) রাত ৮টার দিকে বরিশাল নগরের মহাশ্মশান এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিন জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন মনা আহম্মেদ, আব্দুল হালিম, মো. জাহিদ ও সুজন।
হামলায় আহত মনা আহম্মেদ জানান, কাউনিয়া শ্মশান ঘাটের ওই জায়গা দিয়ে আমরা ১০ জন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ভাইয়ের নির্বাচনী ওয়ার্ক করছিলাম। তখন আকস্মিক এক দল যুবক এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার সময় রইস আহম্মেদ মান্না আমার শার্টের কলার ধরে গালিগালাজ করে পেটে পিস্তল ঠেকায়। এরপর মান্নার গাড়ি চালকসহ সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতে পাশাপাশি রড দিয়ে মারধর করে। আমার সঙ্গের লোকজনকেও মারধর করছে। এসময় ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক যুবলীগের সেক্রেটারি আব্দুল হালিম ও জাহিদ হামলার শিকার হন।
অভিযুক্ত বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইস আহম্মেদ মান্না বলেন, পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ, আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, আজ পাঁচ দিন ধরে আমি সিসি ক্যামেরার আওতায় আছি। যারা বলে আমি কাউকে অস্ত্র ঠেকাইছি বা মারধর করছি তারা মিথ্যা বলছে। প্রয়োজনে আপনারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেন, আর তা নিলেই বুঝতে পারবেন সিসি ক্যামেরার আওতাধীন এলাকায় থেকে অন্য এলাকায় কিভাবে যেতে পারি।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা ছিল। তাই বিভিন্নভাবে তারা মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে এবং যাতে বরিশালে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ভাই না আসতে পারে সেজন্যও ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, নৌকার প্রচারণা ও নৌকার বিজয় কেউ বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করলে, সে যতই শক্তিশালী হোক না কেন আমরা তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দিবো এবং বরিশাল থেকে বঞ্চিত ঘোষণা করবো।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এখনো নির্বাচনী কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। এর আগে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। যারাই জড়িত থাকুক না কেন কঠোর হস্তে দমন করা হবে।