চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী এখন ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ শালিসি বৈঠকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দফারফার চেষ্টা চালানো হয়। এতে অভিযুক্তসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ মে) বিকালে হাজীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কিশোরীর বাবার দেওয়া অভিযোগে অভিযুক্ত আসামি মো. রায়হান, অভিযুক্তের চাচাতো বোন হাজেরা বেগম (২৫), খালেদা আক্তার (২২), চাচাতো ভাই মো. হাবিবুর রহমান সর্দার (৩০) ও ইউপি সদস্য মো. রহমত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। গেল ২১ মার্চ বিকালে মাছের খাবার মাথায় তুলে দেওয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেয় কিশোর রায়হান। পরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। যার কারণে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। বিষয়টি পরিবারে লোকজন বুঝতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য রহমত উল্লাহকে অবগত করে।
পরে ইউপি সদস্যসের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম আরও জানান, ধর্ষকের বয়স সন্দেহ হওয়ায় এখনো আদালতে পাঠানো হয়নি। বয়স নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্টের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।