নরসিংদীতে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে সাদেকুর রহমান (৩২) নামে একজনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকাল ৪টার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদেক নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি, মাইনুদ্দিন ভূঁইয়াকে সিনিয়র সহসভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রদলের ৫ সদস্যবিশিষ্ট (আংশিক) কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এরপর থেকে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এ ঘটনা জেরে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের চিনিশপুরের বাসভবন তথা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মোটরসাইকেল শোডাউন করে বিক্ষোভ করছিলো পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা। এ সময় ছাত্রদলের অপর গ্রুপের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে পদবঞ্চিত ছাত্রদল গ্রুপের দুই নেতা সাদেক ও আশরাফুল মাথায় ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে সাদেকুর রহমানের মৃত্যু হয়।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের নির্দেশে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে এই হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। পরে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পথে সাদেকুরের মৃত্যু হয়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে ই খোদা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে, অপর একজনকে এর আগেই ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছেন। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।