সরকার ভূমি সংক্রান্ত সেবায় অল্প সময়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে ই-নামজারী চালু করলেও মাধবপুরে ভূমি বিভাগে লোকবলের অভাবে জনগণ তার সুফল পাচ্ছেন না। মাধবপুর উপজেলা ভূমি অফিসে ১৭টি পদের মধ্যে ৯টি এবং ৫টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৩০টি পদের মধ্যে ১৫টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
মাধবপুর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে ৭ জন কর্মকর্তা ভূমি অফিসে দায়িত্ব অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে যোগদান করেন রাহাত বিন কুতুব। এখানে গাননগো পদটি ১ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। সার্ভেয়ার অন্যত্র অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার কারণে সপ্তাহে ২দি অফিস করছেন। কাননগো, চেইনম্যান, জারি কারক, অফিস সহকারী ,সহায়ক সহ ১৭টি পদের ৯টিই রয়েছে শূন্য। মাধবপুর উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন ভুমি অফিস রয়েছে- মনতলা, মাধবপুর সদর, আদাঐর, নোয়াপাড়া ও কালিকাপুর।
মনতলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন জানান, সিলেট বিভাগের মধ্যে সর্ব বৃহৎ মনতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীনে রয়েছে ৮৯টি মৌজা। এখানে বালু মহাল সংক্রান্ত কার্যক্রম, দরখাস্ত মামলা তদন্ত, আদালতে স্বাক্ষী দেওয়া, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশসহ বিভিন্ন কার্যক্রম একাই করতে হয়। এখানে ২টি উপ সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য থাকায় ভূমি কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। মাধবপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাসহ ২টি পদ শূন্য, আদাঐর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৬টি পদের মধ্যে ৩টি শূন্য, কালিকাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ২টি শূন্য এবং নোয়াপাড়া ভূমি অফিসে ১ জন উপসহকারী ও ১ জন অফিস সহায়ক চালাচ্ছেন অফিসের কার্যক্রম।
ভূমি সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব জানান, নামজারীর ক্ষেত্রে আবেদন করার ৭ দিনের মধ্যে উপজেলা ভূমি অফিসে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে প্রতিবেদনসহ নথি পাঠাতে হয়। ২৮ দিনের মধ্যে নামজারীর নিয়ম রয়েছে। সময় মত নথি না আসলে নিদিষ্ট সময়ে কাজ করা যায় না। জনবল সংকটই এর মূল কারণ বলে তিনি মনে করেন।