শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নতুন চাকরির সন্ধানে কোচ ছোটন

আপডেট : ২৭ মে ২০২৩, ১৬:২৮

প্রতি বছর চুক্তি নবায়ন হয়। এবার ৩১ ডিসেম্বর ছোটনের মেয়াদ শেষ হবে। সাত মাস আগেই চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন মেয়েদের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। নতুন চাকরি খুঁজছেন ছোটন। তার আগে বিশ্রাম নিতে চান। জানিয়েছেন আমি ক্লান্ত। ভোর ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুটবল নিয়ে কাজ করতে হয় যে মানুষটির। সেই ছোটন আপাতত পরিবার নিয়ে থাকতে চান। বললেন, ‘আমি ৩১ মে চাকরি পদত্যাগপত্র দিয়ে দুই-তিন মাস বিশ্রাম নেব।’

ছোটন বলছিলেন, ‘এখন সবার প্রত্যাশা চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। বারবার এটা কি সম্ভব।’ ছোটন যে কথাই বলুন তার ভেতরে অনেক কথাই চাপা রয়ে গেছে। অপ্রকাশিত কথা বুকের ভেতরে দৌড়ঝাঁপ করছে। দুই বছর আগে মেয়েদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকত। এখন সেটি নেই। এখন শুক্রবার দিন রিকভারি সেশন রাখা হয়েছে। এটি করেছেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি। পলে শুক্রবারও কাজ করতে হয়। ছোটন সকালে কাজ করে চলে আসেন, আর তার কোচিং স্টাফ মাহবুবুর রহমান লিটু তার স্ত্রী এক সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেন। পরিবার ছাড়া হয়ে গেছেন ছোটন।

গোলাম রাব্বানী ছোটন।

আর অন্য দিকে পল স্মলি মোটা অঙ্কের বেতনে কাজ করছেন। আবারও তার বেতন বাড়তে চায় বাফুফে। কারণ পল স্মলিও চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েও নাকি বেতন বাড়িয়ে নিতে চাইছেন। বাফুফে পলের দাবি পূরণ না করতে চাইলেও কিছুটা বাড়তে চায় বলে জানিয়েছিলেন বাফুফের সহসভাপতি আতাউর রহমান মানিক। এই যদি পরিস্থিতি হয় তাহলে একই ছাদের নিচে কাজ করে অন্যান্য কোচদের বেতন বাড়বে না কেন। ১০ হাজার টাকা বেতনে বাফুফেকে চাকরিতে ঢুকে ছিলেন ছোটন। ৩০, ৩৩, ৩৫, ৪০ হাজার টাকাও বেতন তুলেছিলেন ছোটন। ২০০৯ সালে মেয়েদের কোচ হলেন ২০ বছর ঢাকার ফুটবলে খেলা ছোটন।

২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে পারায় বেতন বাড়িয়েছিলেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। ৮০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। বসুন্ধরা কিংসের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তাদের ক্লাব কোচিংয়ের জন্য। ২ লাখ টাকার বেশি বেতনে। সেটি গ্রহণ করতে পারেননি, ছোটনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে বাফুফে সভাপতি আরও ৫০০ ডলার বেতন বাড়িয়ে দিলেন। ছোটন মনযোগ দিলেন মাঠে। 

কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ছোটনের পরিবার আছে। সন্তান আছে। সংসার বড় হয়েছে। দিনরাত খেটে দেড় লাখ টাকার বেতন আনতে গিয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। তার চেয়ে যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আরও বড় পারিশ্রমিক কাজ করা যায় তাহলে সেটি-ই ভালো। ছোটন এসব কথা মুখে না বললেও অনুমান করা যায় বড় কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাকে মেয়েদের দলের দায়িত্ব দিতে অপেক্ষা করছে। ছোটনের সঙ্গী হতে আরও কয়েক জন অপেক্ষা করছেন। ছোটন বললেন, ‘আমি মহিলা দলের কোচ। কেউ যদি নিতে চায় কাজ করব।’

ইত্তেফাক/জেডএইচ