নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে গুলিবিদ্ধ হোটেল বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদারের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাত আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত বিল্লাল বরিশালের মুলাদী থানার হাকিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রূপগঞ্জের বরপার আরিয়াব এলাকায় ভাড়া থাকতেন এবং বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘প্রিন্স হোটেল’ নামে একটি খাবারের দোকানে বাবুর্চি হিসেবে চাকরি করতেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফএম সায়েদ বাবুর্চি বিলাল হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ মে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাসস্ট্যান্ডের প্রিন্স নামক খাবার হোটেলে বসে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষের বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়৷ ওই সময় গুলি ছুড়লে সেটি বিল্লাল হোসেনের গায়ে লাগে।
এ ঘটনায় বিল্লালের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, বুধবার গুলিবিদ্ধ বিল্লাল হাওলাদারের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন৷ এই মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে৷