শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চারিদিকে মৃতদেহ, কান্না আর অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩, ১৬:৩৬

চারপাশে শুধু মৃতদেহ। তিনটি ট্রেনের অধিকাংশ কামরা পড়ে গিয়েছে পাশে। তিনটি ট্রেনের প্রায় সব কামরা পড়ে আছে মাটিতে। কোনও কামরা পুরোপুরি উল্টে গেছে। চাকা উপরে উঠে গেছে। আশেপাশে, সামনে পিছনে শুধু মৃতদেহ। চারপাশ থেকে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ।

ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চেন্নাই থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া  সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। দুর্ঘটনার পর এখানে পৌঁছে দেখছি ভয়ংকর ছবি।

কিছু সময় আগেও যারা বেঁচে ছিলেন, তারা এখন লাশ মাত্র। রেলমন্ত্রণালয় তাদের সংখ্যা জানাচ্ছে। একটু পর পরই সেই সংখ্যা বাড়ছে। শুরুতে ছিল ৩৩, এখন ২৩৮। কোথায় গিয়ে সেই সংখ্যা থামবে তা বোঝা যাচ্ছে না। অ্যাম্বুলেন্সের তীক্ষ্ণ সাইরেনের শব্দ মাঝেমধ্যেই শোনা যাচ্ছে।

ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চেন্নাই থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া  সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি।

কিছু জায়গায় লাইন বলে কিছু নেই। লোহার লাইন ভেঙে গেছে। কংক্রিটের স্লিপার ভেঙেচুরে গেছে।  কামরা থেকে বের করা হচ্ছে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। সেই দেহ তোলা হচ্ছে ম্যাটাডোরে। স্বজনদের খুঁজছেন মানুষ। তাদের আশা একটাই, যদি এখনো কামরার ভিতরে বেঁচে থাকেন তারা। জানি না, তাদের আশাপূরণ হবে কি না, তবে তারাও শিউরে উঠছেন, যখন মৃতদেহ বের করা হচ্ছে।

স্থানীয় মানুষ বলছেন, মালগাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। সেই ট্রেন লাইনচ্যূত হয়। উল্টোদিক থেকে আসছিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। উল্টে যাওয়া কামরায় ধাক্কা লেগে সেই ট্রেনের অধিকাংশ কামরা উল্টে যায়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো তা রেল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যাবে।

ইত্তেফাক/এএইচপি