প্রিমিয়ার লিগের খেলা এখনো শেষ হয়নি। এখন অনেক ম্যাচ রয়ে গেলেও চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ রেলিগেশন দল নিশ্চিত হয়ে গেছে। সেটা হলেও এরই মধ্যে অনেক ক্লাবই দল গোছানোর কাজে নেমে পড়েছেন। খাতা কলম নিয়েই নয় একই সঙ্গে টাকার থলে নিয়েই ছুটছেন কেউ কেউ। বসুন্ধরা কিংস সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে। বড় বাজেটে দল গড়ছে। তাদের সঙ্গে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব কিংবা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র থাকলেও কিংসের মতো দল গড়েন না।
যদিও একই পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয় শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল। তারপরও খেলোয়াড় সংগ্রহের কাজটা সারেন ভিন্ন কর্মকর্তারা। কিংসেরও মতামত থাকে সেখানে। কিংবা নেওয়ার চেষ্টা করে। তবু বসুন্ধরা কিংস এগিয়ে থাকে কাগজে কলমে। এবার তারা লিগে টানা চতুর্থ শিরোপা গড়ে ইতিহাস গড়েছে। তারপরও দেশি ফুটবলারদের নিয়ে তারা খুব একটা দুর্ভাবনায় নেই। অনেকের সঙ্গে কথা সেরে রেখেছেন কর্মকর্তারা। কিন্তু বাফুফের ফরমে এখনো চুক্তি করতে পারেননি।
বাফুফে জানিয়েছে নির্ধারিত ফরম ছাড়া কোনো চুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না। লিগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফরমও ছাড়া হবে না।
কিংসের পরই আবাহনীকে ধরা হয় সবচেয়ে শক্তিশালী দল। কিন্তু আবাহনী একবারও কিংসকে ছাড়িয়ে যেতে পারছে না। ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে আবাহনীর ফুটবল দল। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলছেন কর্মকর্তারা। আর মুখে বলছেন এখনো দেরি আছে। লিগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি করবেন না। আবাহনী এবার সব হারিয়েছে। পথ হারা আবাহনী সামনের মৌসুমে শিরোপা ঘরে তুলতে চায়। কিন্তু পারবে কিনা সেটা বলা কঠিন।
ফুটবল আলোচনায় এখন সবচেয়ে বেশি এগিয়ে মোহামেডান। ফেডারেশন কাপ ফুটবলে দারুণ খেলেছে মোহামেডান। বসুন্ধরা কিংসকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে আবাহনীকে হারিয়ে ট্রফি জয় করেছে মোহামেডান। আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের লড়াকু ফুটবল দেখেছেন দেশের মানুষ। আগামী দলবদলে মোহামেডানের ফুটবলারদের কদর বেড়ে গেছে। এরই মধ্যে মোহামেডানের ফুটবলারদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেছে। কোচ আলফাজ আহমেদ যেভাবে পিছিয়ে পড়া মোহামেডানকে ট্রফি এনে দিয়েছেন, তা দেশের ফুটবলে নতুন জাগরণের সৃষ্টি করেছে। আর এই নবজাগরণে মোহামেডানের ফুটবলার নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করছে। গোপনীয়তা বজায় রেখে খেলোয়াড়দের বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো ফুটবলার মুখ খুলতে রাজি না।
কোচ আলফাজ আহমেদ বলছিলেন তার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলছে একাধিক ক্লাব। ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিবেরও একই কথা। তাদের দল যেভাবে ভালো খেলা উপহার দিয়েছে তাতে খেলোয়াড়দের কদর বাড়বেই। অধিনায়ক সুলায়মান দিয়াবাতেরও। তিনিও বলছিলেন এরই মধ্যে নাকি একাধিক ক্লাব তাকে ডাকছে। মোহামেডান, কোচ খেলোয়াড়দের কথায় স্পষ্ট মোহামেডান ভাঙছে। কোচিং স্টাফরা মনে করছেন টিম মানেজম্যান্ট যদি এখনই দল গঠনের ব্যাপারে উদ্যোগ না গ্রহণ করে তাহলে এই দল রাখা কঠিন হয়ে যাবে। ম্যানেজার নকিব বললেন,‘কিছু খেলোয়াড় রাখা দরকার। কিছু পরিবর্তন করা দরকার। দেশি-বিদেশি দুই দিকেই শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।