শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এবার বাঘায় উৎপাদিত হচ্ছে বিচিত্র বিদেশি ফল

আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩, ২০:০৭

এক সময় যে সমস্ত ফল বাংলাদেশে পাওয়া যেত না, এখন সে সব ফল রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু ফল চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়ায় বাঘার অনেক শিক্ষিত যুবকরা কৃষিতে এগিয়ে এসেছে। 

পুষ্টির চাহিদা পূরণে ফলের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। অতিথি আপ্যায়ন, রোগীর পথ্যসহ ফলের রয়েছে বিবিধ ব্যবহার। ২০ বছর আগে আম-কাঁঠাল ছিল এ দেশের প্রধান ফল। 

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ দেশে ৫৬ প্রজাতির ফল চাষ হয়। তবে বর্তমানে এটি ৭২ এ দাড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ফল গবেষকরা। এ দিক থেকে ফলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহীর বাঘায় হরেক রকম বিদেশি ফলের চাষাবাদ হচ্ছে। 

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মধ্যে আম এবং সবজি চাষে বাঘাকে প্রথম হিসেবে ধরা হয়। উপজেলার আম মাটিগুণে সুমিষ্ট হওয়ায় বিদেশে রপ্তানি হয়। এ উপজেলার বিস্তৃর্ণ পদ্মার চরাঞ্চল জুড়ে রয়েছে সবজি ভাণ্ডার। পাশাপাশি এখানকার প্রধান অর্থকারী ফসল আম। 

সম্প্রতি বাঘায় অনুষ্ঠিত কৃষি মেলায় একশ প্রজাতির আমের স্টল সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ দিক থেকে অন্যান্য ফলের হিসেব করতে গেলে যে সমস্ত ফল এক সময় বিদেশে পাওয়া যেতো, এখন সেসব ফল বাঘায় উৎপাদন হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

বাঘায় যে সমস্ত বিদেশি ফল চাষ হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ড্রাগন, মাল্টা, স্ট্রবেরি, কমলা, জাম্বুরা, খেজুর, আঙ্গুর, ক্যাপসিক্যাম, চেরিলা, মিষ্টি তেঁতুল, ছবেদা, থাইকুল, থাইপেঁপে ও পেয়ারা। 

আপরদিকে আমের মধ্যে মল্লিকা, বোম্বাই, সুরমা, আম্রপালি, কাটিমন, তেজপুরি, মধুমতি, দুধসর, সেঁনরি, ব্যানানা, কলাবতি, বৌ-ভুলোনো, নন্দ্রাফ্রজ, রানীপছন্দ, বাঘা শাহী ইত্যাদি ফল মানুষের কাছে নতুন হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।  

আর এসব বিদেশি ফল উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন উপজেলার শিক্ষিত তরুণ যুবক আমিনুল ইসলাম রুমন, শফিকুল ইসলাম সানা, আতিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, শাহিন আলম, ইকবাল হোসেন ও আতাউর রহমানসহ আরও অনেকে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে কৃষিতে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শাকসবজি, মিঠা পানির মাছ ও ফলমূল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দশটি দেশের মধ্যে স্থান অর্জন করে নিয়েছে। আমাদের রয়েছে ফলের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। তিনি রাজশাহী অঞ্চলে ফল গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনসহ কীভাবে ফল সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

ইত্তেফাক/পিও