মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পরিবহন শ্রমিকসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।। দুইটি সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। আধা ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে নেয়।
বুধবার (৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলা শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার চৌমোহনীতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১ সিএনজি শ্রমিকসহ দু’পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, জুড়ীতে ছাত্রলীগের মন্ত্রী গ্রুপ হিসেবে পরিচিত সদ্য বিলুপ্তকৃত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল সমর্থিত পৃথক দুটি গ্রুপ ঘটনার সময় দেশীয় অস্ত্রসহ দুই দিক থেকে মিছিল সহকারে ভবানীগঞ্জ বাজার চৌমোহনীতে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে দুই গ্রুপ দুই দিকে চলে যায়। এদিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপে বলরাম বাউরী নামে এক শ্রমিক আহত ও দুইটি সিএনজি গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ এসে অবরোধ সরিয়ে দেয়।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বলের কর্মীরা সদ্য সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেলের এক কর্মীকে মারধর করে। এর প্রতিবাদে বুধবার সাহাব উদ্দিন সাবেল গ্রুপের কর্মীরা মিছিল করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বলের কর্মী সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা কলেজ এলাকায় মিছিল করলে হুমায়ূনের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাহাব উদ্দিন সাবেল গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ূন রশীদ বলেন, আমরা কলেজ থেকে ছাত্রলীগের মিছিল নিয়ে শহরে আসলে ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বলের নেতৃত্বে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়।
জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। আমরা দেখতেছি।