শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চা শিল্পে অবদান রাখায় পুরস্কার পেল ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ২০:২২

জাতীয় চা দিবসে প্রথমবারের মতো পুরস্কার পেলেন আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। রোববার (৪ জুন) বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এই আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের ট্রফি ও সদন তুলে দেন।

এবার জাতীয় চা দিবস পুরস্কার দেওয়া হয় শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্ট লিমিটেড, একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা-বাগান হিসেবে শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী হিসেবে হবিগঞ্জের মাধবপুর চা বাগান, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী পঞ্চগড় জেলার মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট, শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা-বাগান শ্রীমঙ্গলের জেরিন চা বাগান, বৈচিত্র্যময় চা-পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান তেঁতুলিয়া ও পঞ্চগড়ের কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা-প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ের সুলতান টি গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং শ্রেষ্ঠ চা-পাতা চয়নকারী (চা-শ্রমিক) চট্টগ্রামের ফটিক ছড়ির নেপচুন চা বাগান শ্রমিক উপলক্ষী ত্রিপুরা।

আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের পক্ষে পুরষ্কার গ্রহণ করেন, আবুল খায়ের গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহিদুল্লাহ চৌধুরি (অব:)। তিনি বলেন, সফলতার সাথে দেশের চাহিদা পূরণ করে সিলন চা এখন বিদেশের বাজারে ও সুনাম ছড়াচ্ছে। তারই স্বীকৃতি পেলো রপ্তানির শীর্ষে থাকা "সিলন চা"। 

জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চায়ের উন্নয়ন যাত্রা সুচিত হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। নানা দুর্যোগ কাটিয়ে দেশের চা শিল্প এখন এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এখন প্রতিদিন কমপক্ষে এক কাপ চা পান করছে। সে হিসাবে দেশে যদি ১৭ কোটি মানুষ হয়ে থাকে তাহলে ১৭ কোটি কাপ চা পান হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চায়ের আরও উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ শিল্পের সঙ্গে দেড় লক্ষাধিক শ্রমিক, টি স্টাফ, চা বাগান মালিক, চা ব্যবসায়ী, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ লাখ লাখ মানুষ জড়িত। সবার সমন্বিত প্রয়াসে এগিয়ে যাবে এ শিল্প।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইফ সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মঈনুদ্দিন হাসান ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

আরও বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল। সব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্থানীয় এবং ঢাকা থেকে আসা শিল্পীরা।

উল্লেখ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

চা শিল্পে জাতির পিতার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

ইত্তেফাক/এমএএম