জাতীয় দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে একাধিক ফুটবলার ইনজুরিতে ভুগছেন। কাউকেই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কে থাকবেন আর কে থাকবেন না। তবে একজন ফুটবলারকে নিয়ে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তিনি টুটুল হোসেন বাদশা। এই ফুটবলারের পায়ের আঙুলে ফাঙ্গাস দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলের ফুটবল ম্যানেজার আমের খান।
বাফুফের এই সদস্য সরাসরি বলেননি টুটুলকে দলে রাখা হবে কি না। তবে জানা গেছে, টুটুলকে আজ ক্যাম্প থেকে বিদায় দেওয়া হতে পারে। কারণ, টুটুল অনুশীলনে নেমে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারছেন না। কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা দুশ্চিন্তায় আছেন। ৩০ জনের দল থেকে ২৩ জনকে নিয়ে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলে ভারতে যাবেন সাফে খেলতে। তার আগে দলটাকে ভালোভাবে গড়ে নিতে চান তিনি। যেভাবে ইনজুরি হওয়া খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে মুখে না বললেও অনুমান করা যাচ্ছে ইনজুরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কোচ।
টুটুল ছাড়াও রিমনের ইনজুরি নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। রিমন হোসেন কাপ মাসলে টান পেয়েছেন। ইমপ্রুভ হচ্ছে না। সময় লাগবে। আরেক ফুটবলার রকিব হোসেন। মঙ্গলবার থেকেই পায়ে পেইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ সাবেক তারকা ফুটবলার হাসান আল মামুন। বললেন, ‘রাকিব আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার, এই দলে যে কয়জনের সাফ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের একজন রাকিব। আমরা তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’ ফুটবল ম্যানেজার আমের খান রাকিব প্রসঙ্গে বললেন, ‘রাকিবকে ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওর কি ধরনের পেইন হচ্ছে সেটি ডাক্তার ভালো বলতে পারবেন। এখন অনেক ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি বেরিয়েছে সমস্যা নির্ণয় করার জন্য। দেখা যাক রিপোর্ট কী আসে। রাকিব দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার।’
জাতীয় দলের ডিফেন্ডার তপু বর্মণ বসুন্ধরা কিংসের রক্ষণ আগলে রেখেছেন। কিন্তু এবার লিগে তপু ইনজুরির কারণে অনেক ম্যাচ খেলতে পারেননি। এখন অনেক ভালো অবস্থায় থাকলেও তপুকে দলের সঙ্গে অনুশীলন করানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফুটবল ম্যানেজার আমের খান। তিনি জানালেন, ‘তপু এবং রিমনকে এক সঙ্গে জাতীয় দলের ফিজিওর অধীনে দেওয়া হয়েছে। তারা মূল দলে অনুশীলন করছেন না। ঝুঁকি নিচ্ছেন না কোচ। ফিজিওর কাছে থাকবেন। তপু-রিমনকে সারিয়ে তুলতে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ আর টুটুল হোসেন বাদশা চলে গেলে তার জায়গায় নতুন কাউকে ডাকার সুযোগ নেই। কারণ, তারিক কাজী, বিশ্বনাথ এবং মেহেদী রয়েছেন টুটুলের পজিশনে।
এবার প্রিমিয়ার লিগ এবং ফেডারেশন কাপ ফুটবল একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলার চাপ ছিল। আর এখন লিগের শেষ ম্যাচ হওয়ার অপেক্ষায় ফুটবলাররা। এ সময় খেলোয়াড়দের ইনজুরি থাকবে এটাই স্বাভাবিক।