সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ইউক্রেনের বাঁধ: ভেসে যাওয়া মাইন নিয়ে উদ্বেগ

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ১৩:৪১

ইউক্রেনে কাখোভকায় বিস্ফোরণের ফলে বাঁধের একাংশ ভেঙে গেছে। ফলে সেখান দিয়ে নিপ্রো নদীর জল বাইরে এসে বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার নিপ্রোর জল আরও তিন ফিট বাড়বে এবং আরও এলাকা ভাসাবে বলে ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকায় ৪২ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে খাবার জল নেই। তাই রেডক্রসের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ত্রাণের জন্য ঝাঁপাক।

আর রেডক্রসের আশঙ্কা, এই এলাকায় প্রচুর মাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল। সেগুলো বন্যার জলে ভেসে গেছে। এর ফল ভয়ংকর হতে পারে। সংবাদসংস্থা এএফপি-কে রেডক্রসের কর্মকর্তা এরিক টোলেফসেন বলেছেন, ‘এই মাইনগুলো শুধু খেরসনের বাসিন্দাদের কাছে বিপদের কারণ তাই নয়, বাইরে থেকে যারা সাহায্য করার জন্য আসছেন, তাদের জন্যও বিপদের কারণ।’ 

এরিক বলেছেন, ‘আগে আমরা জানতাম মাইনগুলো কোথায় আছে। এখন শুধু জানি, নদীর জলে তা নিচের দিকে চলে গেছে।’

ইউক্রেনের সেনার সাদার্ন কম্যান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক বলেছেন, ‘রাশিয়া অধিকৃত এলাকা থেকে মাইনগুলো ভেসে গেছে এবং এখন সেগুলো ভাসমান মাইনে পরিণত হয়েছে।  এই মাইনগুলো ঘোর বিপদের কারণ।’

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিপ্রোর জলে ৩০টি শহর ও গ্রাম ভেসেছে।  এর মধ্যে ২০টি শহর ও গ্রাম ইউক্রেনের অধিকারে আছে, বাকি ১০টি রাশিয়ার অধিকারে। ইউক্রেনের এলাকায় ১৭ হাজার ও রাশিয়ার এলাকায় ২৫ হাজার মানুষের সাহায্য দরকার। খেরসন শহরে দুই হাজার বাড়ি জলের তলায় চলে গেছে।

কারা এই বিস্ফোরণের পিছনে তা এখনো জানা যায়নি। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া এই কাজ করেছে। আর রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনের সেনাই বিস্ফোরণের পিছনে আছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ‘এই কাজ বর্বরোচিত।’

ইত্তেফাক/এফএস