মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে রাজউকের অভিযান

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ১৭:২০

পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় শত বছরের পুরোনো ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক। অভিযানকে কেন্দ্র করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার  (৮ জুন) দুপুরে এই অভিযান শুরু হয়েছে। পুকুরটি রক্ষার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদীদের আয়োজিত মানববন্ধন করে আসছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযানকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযান শুরুর আগে পুকুর দখল করে গড়ে ওঠা দোকানপাটের মালামাল সরাতে মাইকিং করা হয়েছিল।

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় ডিআইটি প্লট পুকুর রক্ষায় দাবিতে চারিপাশ ঘেরাও করে মানববন্ধন আয়োজন করে  এলাকাবাসীর একাংশ। একই সময় কাউন্সিলর সমর্থক এলাকাবাসীরাও কর্মসূচী দেন। তবে পুলিশের বাধায় উভয়পক্ষের কর্মসূচি পণ্ড হয়। গত শুক্রবার দোকানিরা শুরুতে না সরালেও পরে মালামাল সরাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।

এর আগে গতকাল পুকুর রক্ষায় সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও পুকুর ভরাটকারী ব্যক্তিদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

বিজ্ঞপ্তিতে বেলা বলেছে, ডিআইটি পুকুরটি  ভরাট হলে এর আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হবে। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে। অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায়ও এমন জলাধার গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া সংবাদে জানা যায়, পুকুরের চারপাশে ছড়িয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। মাটি ফেলে ভরাট করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, পুকুরটি ভরাটসহ নানা স্থাপনা নির্মাণে যুক্ত আছেন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহানা আক্তার এবং মালিকানা দাবিকারী নৌশাদ আহমেদ গং ও তাঁদের আমমোক্তার জাকির হোসেন।

ছবি: সংগৃহীত

গত মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ডিআইটি পুকুরের জমি সম্পত্তি বিভাগকে জরিপ করতে বলা হয়েছে। পর্চা অনুযায়ী, মানচিত্র অনুযায়ী পুকুরের যে সীমানা, তা নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করা হবে বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী কোনো পুকুর-জলাশয়, নদী-খাল ভরাট করা বেআইনি। গেন্ডারিয়া পুকুর খনন করা হয় ব্রিটিশ আমলে। তখন গেন্ডারিয়া থেকে যাত্রাবাড়ী, ধোলাইখাল, সায়েদাবাদ ও কুতুবখালী দিয়ে মানুষ নৌকায় যাতায়াত করত। কালের বিবর্তনে গেন্ডারিয়ার জলাধার বিলীন হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে তৎকালীন ডিআইটি গেন্ডারিয়া এলাকার ১৩ দশমিক ৫৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে। সেখানে দুই একর পরিমাণ একটি পুকুর ছিল।

ইত্তেফাক/এনএ