কোনো হল ভাড়া কিংবা রেস্তোরায় বসে নয়, খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান।
শুক্রবার (৯ জুন) দুপুুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল ভবনের সামনের সড়কে দাড়িয়ে তিনি ইশতেহার ঘোষণা করেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, জনগণকে জানানোর খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ইশতেহার ঘোষণা করছি। জনগণের প্রতি সম্মান দেখাতেই আমার এ অবস্থান। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী, আমার পক্ষে কোনো দল নেই। সাধারণ মানুষ কাজ করে। আমি বলব, আমার পক্ষে যারা কাজ করছে তাদের যেন প্রশাসন হয়রানি না করে। প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের দিকে, আমার মতো সাধারণদের দিকে নয়।
ইশতেহারে তিনি উল্লেখ করেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগরীর সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি এই বর্ধিত এলাকা হবে এই নগরীর দৃষ্টিনন্দন ভ্রমণ কেন্দ্র। নগরীর কলোনীগুলোর নাম হবে সিটি রাজমহল। প্রত্যেকটিতে থাকবে বহুতল ভবন আর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য থাকবে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। কাশিপুর, রূপাতলী ও আমানতগঞ্জকে উপ-শহর এবং বাইপাস সড়ক করা হবে। আবাসনহীন নগরীর সকল গনমাধ্যম কর্মীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির ও গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সিটি করপোরেশন থেকে অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে অধিক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বরিশাল নগরী হবে দেশের সবচেয়ে নিরাপদ ও শান্তি নগরী। দখলবাজ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করে নগরীর শতভাগ জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশুদের খেলার মাঠ ও দৃষ্টিনন্দন পার্ক নিমার্ণ করা হবে। সরকারী সুবিধা ব্যাতিত অস্বচ্ছল কর্মহীনরা পাবে সিটি ভাতা। নগরীর সকল স্থানে সড়ক বাতি স্থাপন করে রাতের নগরীকে করা হবে আলোকিত। শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির মান উন্নয়নে সিটি করপোরেশন অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে অধিক বরাদ্দ দেয়া হবে। নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া নগর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হবে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হবে অভিযোগ বক্স। দখল দূষণে হারিয়ে যাওয়া যাওয়া নগরীর সকল খালের পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে। সকল প্রকার নাগরিক কর সহনশীল পার্যায় রাখা হবে।