শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বরিশাল সিটি নির্বাচন: ভোট নিয়ে বস্তিগুলোতে উৎসবের আমেজ

নির্বাচনি প্রচারণাকে চাকরি হিসেবে নিয়েছে বস্তিরবাসিন্দারা 

আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩, ২৩:০৭

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বস্তিবাসীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বস্তির গৃহবধূ থেকে শুরু করে পুরুষ এবং কিশোর- কিশোরীরা এখন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাকে উপার্জনের একমাত্র বাহন হিসেবে ধরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এ জন্য তারা মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিকট থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে মজুরী পাচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে একটি পরিবারের প্রতিদিন গড়ে হাজার টাকা করে আয় হয় বলে বস্তির একাধিক বাসিন্দা স্বীকার করেন। 

বস্তির ভোট নিশ্চিত করতে বস্তিতেই কর্মী বাহিনী তৈরি করে চলছে প্রচার- প্রচারণা। বস্তিবাসীদের ভোট পেতে আধাজল খেয়ে নেমেছেন প্রার্থীরা। কীর্তনখোলা নদীর পাড় সংলগ্ন নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকায় বহু পূর্বে জেগে ওঠে চর। সেখানে গড়ে উঠেছে পলাশপুর নামের ১৪টি বস্তি। প্রতিটি বস্তিতে কমপক্ষে ৩/৪শতাধিক ছোট-বড় ঘর রয়েছে। একইভাবে কীর্তনখোলা নদীর একটি অংশে জেগে ওঠা চরে গড়ে উঠেছে রসুলপুর ও মোহম্মদপুর বস্তি। এ দু’টি বস্তিতে বসবাস করেন তিন শতাধিক পরিবার। একইভাবে পোর্ট রোডস্থ কলাপট্টি বস্তি, কেডিসি সংলগ্ন বালুর মাঠ বস্তি, স্টেডিয়াম বস্তি, ভাটারখাল বস্তি, রূপাতলী বস্তিসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছোট-বড় কমপক্ষে ৩০টি বস্তি রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন ও বেসরকারি সংস্থার পরিসংখ্যানে জানা যায় ঐ সকল বস্তিতে প্রায় দেড় লাখ জনসংখ্যা রয়েছে। এর মধ্যে ভোটার রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। 

মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা কাজে ব্যস্ত পলাশপুর বস্তির একাধিক নারী কর্মী জানান, মেয়র প্রার্থীদের কাছ থেকে তারা দৈনিক ৪শ’ টাকা করে এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকা করে মজুরী বাবদ পেয়ে থাকেন। পূর্বে তারা বিভিন্ন স্থানে রকমারি কাজ করে সংসার চালাতে হতো। এখন আর কাজের সন্ধানে বের হতে হয় না। প্রচারণা চালানো কাজে পরিণত হয়েছে। 

প্রচারণা কাজে ব্যস্ত বস্তির একাধিক বাসিন্দা জানান, তারা ভোট দেয়ার জন্য নয়, মজুরী পেয়ে নির্দিষ্ট কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। যার পক্ষে কাজ করছেন তাকেই ভোট দিবেন এমন কথা নেই। যে প্রার্থী তাদের বস্তিবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করবেন তারাই তাকে ভোট দেবেন। 

 

ইত্তেফাক/এবি/পিও