বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

সিসিক নির্বাচন: ১১ দিন বাকি চলছে জোর প্রচারণা

বিএনপি, জামায়াতের ভোট পেতে অনেকের চেষ্টা

আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, ১৫:৩৩

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের আর মাত্র ১১ দিন বাকি। ২১ জুন নির্বাচন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নির্বাচনি উত্তাপ বাড়ছে।

সিসিকে মেয়র প্রার্থী সাত জন থাকলেও এখন পর্যন্ত আলোচনায় তিন প্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। সবাই জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী আনোয়ার। তিনি বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন রুটিন মাফিক।  অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসানও বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময়, পথসভা ও গণসংযোগ চলিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের ময়দানে এ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ।

ভোটাররা অনেকেই বলছেন, ঐতিহ্যবাহী সিলেট নগরীর ভবিষ্যৎ উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখেই আমরা ভোট দেব।

তবে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন।

এবারের নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের ভোট কার ভাগ্যে পড়বে। তবে প্রার্থীরা চেষ্টায় আছেন, ওই দুই দলের ভোট নিজেদের বাক্সে নিতে। ইতোমধ্যে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার ও জাপার লাঙ্গল প্রার্থী নজরুল দেখা করেছেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হকের সঙ্গেও। যদিও তারা বলেছেন, এটা ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’।

এদিকে সিসিক নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় ব্যাপকভাবে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রার্থীর বিভিন্ন গুণগান ও ছন্দে ছন্দে প্রতিশ্রুতিমূলক স্লোগানের রেকর্ড মাইকে জোরে জোরে বাজানো হচ্ছে। অনেকেই মাইকিংয়ের জ্বালায় ত্যাক্ত-বিরক্ত। মাইকিং ছাড়াও মহানগরে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও স্থানে সভা, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করছেন প্রার্থীরা।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বৃহস্পতিবার হাফিজ কমপ্লেক্সে ৪২ ওয়ার্ডের উন্নয়নকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে রাতে তার সমর্থনে কালীঘাট পয়েন্ট, বালুচর পয়েন্ট এবং দক্ষিণ সুরমার মকন দোকান এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় পথসভা। এসব মতবিনিময় ও পথসভায় আনোয়ারুজ্জামান সিলেটকে স্মার্ট, উন্নত, ডিজিটাল ও শান্তির মহানগর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসব পথসভা ও মতিবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

৯২ জন কাউন্সিলর স্বশিক্ষিত

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৯২ জন স্বশিক্ষিত। এছাড়া ৭৬ প্রার্থী মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে পারেননি। দুজন প্রার্থী স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামায়—এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার এমন চিত্রে হতাশা প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে আইন প্রণয়নের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কাজ হয়নি। তাই ভোটারদেরকে প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে বেছে নিতে হবে। 

হলফনামায় দেখা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৭৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪১ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইত্তেফাক/আরএজে