শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনীর ১১৪ সংস্থা মোতায়েন

আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, ২১:২৩

গত মাস থেকেই সাম্প্রতিক দাঙ্গায় উত্তাল মণিপুর। এমন পরিস্থততে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত শস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনীর মোট ১১৪ সংস্থা রয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যটিতে সিআরপিএফের ৫২ টি, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ১০ টি, বিএসএফের ৪৩ টি, আইটিবিপির চারটি এবং এসএসবির পাঁচটি সংস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। এই সপ্তাহে মণিপুরে কেন্দ্রীয় সরকার আরও ৩০ টি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে।

এ প্রসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কয়েক মাস মণিপুরে থাকতে হতে পারে, এটা মাথায় রেখেই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী পরিচালনার জন্য ডেপুটি কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার ২০ জন কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হয়েছে। 

গত ৩ মে, অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মনিপুরের (এটিএসইউএম) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এই অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। মণিপুর হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, মেইতেইদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। এর পরেই আদিবাসী সংগঠনগুলি তার বিরোধিতা করতে রাস্তায় নেমে আসে।

মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাক্তন সিআরপিএফ প্রধান কুলদীপ সিংকে সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মোদী সরকার গত ৬ মে, বিজেপি শাসিত মণিপুরে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। মেইতেই সম্প্রদায়, কুকি ও জোস সহ কিছু তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ রোধ করাই ছিল তার প্রধান উদ্দেশ্য। এছারা সেনা ও আসাম রাইফেলসকেও নামিয়ে আনা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু সহিংসতা থামেনি। মণিপুরে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০০ এর কাছাকাছি। জাতিগত সহিংসতার কারণে ঘরছাড়া হয় ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।

ইত্তেফাক/এএইচপি