শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ

নোয়াখালীতে বিএনপির ২৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩, ১৯:৫৩

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর বাদী হয়ে এ মামলা করে। 

মামলায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীর হোসেন বাড়ি থেকে ওষুধ কিনতে বসুরহাট বাজারে যায়। বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তার পকেটে থাকা ২৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীরের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
 
মামলায় বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ফারুক, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল কবির ফয়সল, সদস্য সচিব জাহেদুর রহমান রাজনসহ ৯৩ নেতার নাম উল্লেখসহ ২৫০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
 

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ বিএনপি নেতা-কর্মীর আহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। মির্জা ফখরুলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিটিকে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে বলে পাল্টা প্রতিবাদে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান রনি বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ওই সংঘর্ষের জেরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের ওপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়।  বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদের নেতাদের ওপর হামলা চালায়।
 

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের অতর্কিতে হামলা করে আহত করে। এরপরও আওয়ামী লীগ আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমরা মিথ্যা মামলায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করা এবং এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান বলেন, তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও