সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের সুবিধার্থে আগামী ২৩ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।সোমবার (১৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল আগামী ২৩ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আগামী ২৩ জুনের পূর্বে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
তবে এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদের ছুটি শুরু হবে ২৫ জুন। বন্ধের সময় স্বাভাবিক হল খোলা থাকে। কিন্তু পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রেখে ৩ দিনের মধ্যে হল ত্যাগের সিদ্ধান্তকে অনৈতিক বলছেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। মেহেদী হাসান মিঠুন নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় টা কি মগের মুল্লুকে পরিণত হয়ে গেলো নাকি? সংস্কার কাজ চলবে, চলুক। এইটা দরকার আছে। তাই বলে আমাকে বের করে দিয়ে কেন? আমার রুমের সিলিংয়ের কাজ, দরজা বদল এগুলো আমার অবর্তমানে কেন করা হবে?’
রুবাইয়া জাহান শশী নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘তিনদিনের শর্ট নোটিসে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলাটা কি প্রহসন নয়? যারা অন্য ধর্মাবলম্বী, যাদের টিউশন আছে, পরীক্ষা আছে তারা কেউই এতদিন বাড়িতে ছুটি কাটাবে না। কেউ কেউ হয়তো ক্যাম্পাসেই ঈদ করবে ভেবে রেখেছে। প্রশাসনের এই হঠকারী সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ঠিক কতখানি ভোগান্তি হবে সে খবর কি তারা রাখেন?’
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, এ নোটিস পরিবর্তন করবো আমরা। তারপরে বিস্তারিত জানাবো।