শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ছাত্রলীগের ‘চামড়া’ তুলে নেওয়ার হুমকি প্রতিমন্ত্রীর ছেলের 

আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩, ২১:২০

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়ায় খেপেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ছেলে সাফায়াত বিন জাকির।

এ ঘটনায় তিনি ছাত্রলীগের পাছার চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। বুধবার (৫ জুলাই) রাতে প্রতিমন্ত্রীর ছেলে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্টটি দেন।

জানা যায়, বুধবার উপজেলা ছাত্রলীগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শৌলমারী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করে। উপজেলা ছাত্রলীগের এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ছেলে সাফায়াত বিন জাকির ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।

প্রতিমন্ত্রী ছেলের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট

ফেসবুক পোস্টে প্রতিমন্ত্রীর ছেলে লিখেছেন, ‘উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি সম্মেলন বাদ দিয়ে ইউনিয়ন নির্বাচিত কমিটি কীভাবে ভাঙে? দল তো নিজের বাপ-দাদার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নয়। সময়ের উত্তর সময় দিবে। তাদের পাছার চামড়া থাকবে কিনা সেটা তাদের ভাবতে বলেন।’

মূহুর্তেই এ পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পোস্টে শামিম আহমেদ নামে একজন মন্তব্যে করেন, ‘আর কদিন পর নাকি পাছার চামড়া থাকবে না এদের, এমন হুমকি কেন দেওয়া হলো?  এতে কি দলের ভাবমূর্তি উন্নতি হলো নাকি ক্ষুণ্ণ করা হলো?’

প্রতিমন্ত্রীর ছেলের ওই পোস্টে রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল আহমেদ মন্তব্যে করেন, ‘এই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিটা যদি আপনার কথামতো হতো তাহলে সবকিছুই তখন ঠিক বলতেন। ছাত্রলীগ নিয়ে আপনারা এতো মাথা ঘামান, দিনের পর দিন বিভিন্ন উপজেলার ছাত্রলীগ কীভাবে সংগঠন চালাচ্ছে একবারও কি খোঁজ নিয়েছেন?

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সাফায়াত বিন জাকিরের মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান সুমন বলেন, কে কী লিখলো তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। তিনি (প্রতিমন্ত্রীর ছেলে) ছাত্রলীগের কেউ না। জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। 

এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি । 

ইত্তেফাক/এবি/পিও