শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

প্রতারণা ও ভারতীয় ভিসা সেন্টারে ঢুকে হুমকির অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার

আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৩, ১৬:১৯

রাজশাহীর ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ ও কর্মচারীদের হুমকি এবং ভিসা দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নুরুন্নাহার খাতুন মিলি নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার নুরুন্নাহার খাতুন মিলি নগরীর উপশহর এলাকার সেক্টর-১ এ বসবাস করেন। তিনি রাফি টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী।

ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, কিছুদিন আগে একজন আবেদনকারী তার পরিবারের তিনটি ভিসার কাগজপত্র নিয়ে আসেন। আমরা তার আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে দেখি তিনি আবেদনের নির্ধারিত ফি জমা না দিয়েই এসেছেন। তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

এ সময় আবেদনকারী জানান, রাফি টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের এক নারীর মাধ্যমে তিনি অনলাইনে ভিসার ফি পরিশোধ করেছেন। তিনটি ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ৫২০ টাকা। অথচ ওই আবেদনকারীর কাছ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েও কোনো টাকাই পরিশোধ করা হয়নি। আমরা বুঝতে পারি আবেদনকারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেই।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর ৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে নুরুন্নাহার খাতুন মিলি এসে অফিসের সকল স্টাফকে হুমকি-ধামকি প্রদানসহ চাকরি থেকে বরখাস্তের ভয় দেখান। ঘটনার পর অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করি।

এদিকে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তারকৃত ওই নারী অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ভিসা করিয়ে দেওয়াসহ ভারতীয় হাসপাতালে রোগী পাঠানোর কাজ করেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতারা তার কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছেন। এ বিষয়ে কোনো কথা কলতে গেলে ভুক্তভোগীদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হতো। এই ভয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করতে সাহস করতো না।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, নগরীর ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা মিলির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও