ভোলার বোরহানউদ্দিনে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া গরু মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় গরু চোর চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
ভোলার-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদিয়া মাদরাসা থেকে বুধবার (১৯ জুলাই) তাদের আটক করা হয়।
এসময় ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান নেছারউদ্দিন পালিয়ে গেলেও নারীসহ ১০ জন, ছয়টি গরু,মোটরসাইকেল ও পানির পাম্প জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার গংগাপুর ইউনিয়নের সফিজলের ছেলে শাকিল, কুতুবা ইউনিয়েরন ইয়ামিনের ছেলে মহিউদ্দিন, ভোলার আলী নগর এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে রমজান, আলমগীরের ছেলে মাহাবুবুর রহমান, একই এলাকার রহিমা বেগম, বুশরা, ফাতেমা, জাকিয়া, ফাহিমা, লিয়া।
উদ্ধার হওয়া গরুর মালিক দাবিদার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুস সোহবানের নাতি ইমরান হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত সাাড়ে ৩টার দিকে আমার নানার তিনটি এবং একই এলাকার আব্দুল বারেকের তিনটি গরু চুরি হয়। এরপর থেকে আমরা গরু খুঁজতে থাকি। গরুর পায়ের চিহ্ন ধরে আমরা খোঁজ করি। এক পর্যায়ে পৌর সভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের আহম্মাদিয়া মাদরাসায় পৌঁছাই। পরে মাদ্রাসার একটি কক্ষে টিনের ছিদ্র দিয়ে দেখার চেষ্টা করলে এক নারী আমাদের দিকে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে বটি নিয়ে তেড়ে আসে। এরপর আমরা পুলিশের শরণাপন্ন হই।
বোরহান উদ্দিন থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ রাজিব জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে বুধবার দুপুরে (১৯ জুলাই) আমরা ওই স্থানে অভিযান চারাই। অভিযানে ছয়টি গরু,মোটরসাইকেল,পাম্পমেশিন উদ্ধার করি। এ সময় চার জন পুরুষ ও ছয় নারীকে আটক করা হয়। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালমোহন সার্কেল মো.জহুরুল ইসলাম হাওলাদার জানান, বোরহানউদ্দিন থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।