বকশীগঞ্জের ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে চলতি বছরের ২৩ জুন থেকে গতকাল ২৬ জুন পর্যন্ত কোনো মালামাল আমদানি ও রপ্তানি হয়নি। কবে নাগাদ শুরু হবে, তাও জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানুয়াকামালপুর স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা এ কে এম রফিকুল।
জানা গেছে, উপজেলার একমাত্র স্থলবন্দর ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দর। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। এক লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে। চলতি অর্থবছর শুরুর এক সপ্তাহ আগেই অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ধানুয়াকামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বাংলাদেশের অভ্যস্তরে পাথরের সংকট দেখা দিয়েছে। দামও বেড়ে গেছে।
ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা এ কে এম রফিকুল জানান, স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই। এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুধু বুলডোজার পাথর আমদানি হয়। বর্ষকালে ভারতের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার সমস্যার কারণে পাথরবোঝাই পরিবহন ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরে আসতে পারছে না। তাই আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ যাবতীয় কাজ চলমান আছে।