কক্সবাজারের চকরিয়ায় একদল স্বপ্নবাজ তরুণ প্রতিষ্ঠা করেছে 'মানবিক পাঠশালা উম্মুক্ত পাঠাগার'। শিল্প, সংস্কৃতি, ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্যকে পর্যালোচনার মাধ্যমে মানুষের চিন্তাভাবনা, বাস্তবতা ও কল্পনা বইয়ের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত করাই যেই পাঠাগারের মূল লক্ষ্য। এই পাঠাগার সবার জন্য খোলা।
কক্সবাজার জেলার শিক্ষামূলক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক পাঠশালার পৃষ্ঠপোষকতায় সম্প্রতি চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই উম্মুক্ত পাঠাগার। অতীতে চকরিয়া শহরে কোনো পাঠাগার না থাকায় এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে বই পড়ার প্রতি তুমুল আগ্রহের কারণে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে মানবিক পাঠশালার এই উদ্যোগটি।
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও মানবিক পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা ইরানুল ইসলাম উম্মুক্ত পাঠাগার প্রসঙ্গে বলেন, মানবিক পাঠশালা প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আমরা শিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের শিক্ষার্থীসমাজ এবং যুবসমাজকে বই পড়তে উৎসাহিত করতে আমাদের এই উম্মুক্ত পাঠাগার। পাঠাগারে এসে সকলে জ্ঞান আহরন করবে, অন্যদের মাঝে তা ছড়িয়ে দিবে এটাই প্রকৃতি শিক্ষা এবং এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করতে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে মানবিক পাঠশালা। একদল স্বপ্নবাজ স্বেচ্ছাসেবক নিজেদের সৃজনশীল চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী কাজ করছেন।