ভারতের নয়াদিল্লিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ ছেলে ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।
কর্মসূচির শুরুতেই হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
পরে শেখ কামালের গৌরবময় ও সংগ্রাম গাঁথা জীবনের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত আলোচনায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করা হয়। কাকলি সাহা, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও উইং কমান্ডার খাইরুল মামুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন।
শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনীর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন দূতাবাসের মিনিষ্টার (কনস্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর।
হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ ক্রীড়া, শিল্প, সাহিত্যে শহীদ শেখ কামালের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, শেখ কামাল এসব গুণাবলী তার পরিবার থেকে পেয়েছেন যা তার ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে। হাইকমিশনার জাতির জনকের জেষ্ঠ্যপুত্র শেখ কামালের বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানির এডিসি ছিলেন। শহীদ শেখ কামালের স্বপ্ন জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ দিকগুলি বাঙালি জীবনের আদর্শ হিসেবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।