মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ফিলিপাইনের জাহাজে জলকামান ছুড়েছে চীন

আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৫:১৯

বেইজিং-এর বিরুদ্ধে চীন সাগরে ফিলিপাইনের জাহাজে জলকামান ছোড়ার ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড এ অভিযোগ করে বলে বিবিসির এক প্রতিবদনে জানানো হয়। 

তারা জানায়,স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে অবস্থানরত ফিলিপিনো সেনাদের জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত নৌকাগুলোকে এই জাহাজগুলো পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের এই বিপজ্জনক কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছে এবং এই ঘটনার জন্য চীনা মেরিটাইম মিলিশিয়াকে দায়ী করেছে।

তবে চীন এই সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।

বেইজিং সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে, যার মধ্যে স্প্র্যাটলিসও রয়েছে। তবে এই দ্বীপের কিছু অংশের দাবি ফিলিপাইনও করে।

এছাড়া মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই এবং তাইওয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী দাবি রয়েছে।

একটি বিবৃতিতে, ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড (পিসিজি) জানায়, শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে। তখন তাদের জাহাজগুলো স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের দ্বিতীয় থমাস শোলের দিকে যাচ্ছিল।

চীনের এই পদক্ষেপকে তারা 'অতিরিক্ত ও বেআইনি' বলে বর্ণনা করেছে। সেইসঙ্গে বলেন তারা(চীন) আন্তর্জাতিক আইনও লঙ্ঘন করেছে।

অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ফিলিপাইনকে সমর্থন করছে। 

বিভাগের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে,'জলকামান দিয়ে পানি ছোড়ে এবং অনিরাপদ ব্লকিং কৌশল প্রয়োগ করে, পিআরসি [চীনের] জাহাজগুলোকে ফিলিপাইনের সমুদ্রে চলাচলের স্বাধীনতার আইনী অনুশীলনে হস্তক্ষেপ করেছে এবং ফিলিপাইনের জাহাজ ও ক্রুদের নিরাপত্তা বিপন্ন করেছে।'

আন্তর্জাতিক একটি সালিশি আদালত বেইজিং-এর দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর তোলা দাবিটি পুরোপুরি 'ভিত্তিহীন' বলে রায় দিয়েছে। তবে এই রায়কে উপেক্ষা করছে চীন। 

দক্ষিণ চীন সাগর এখন বিশ্বের বৃহত্তম ফ্ল্যাশপয়েন্টগুলোর মধ্যে একটি।  সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মার্কিন-চীন উত্তেজনা বেড়েছে।

এই জলসীমায় প্রবেশাধিকার তাইওয়ানকে রক্ষা করার চাবিকাঠি । আর এই সময়ই স্ব-শাসিত দ্বীপের ওপর চীনের দাবি তীব্রতর হয়েছে।

এই জলপথগুলো প্রতি বছর বিশ্ব বাণিজ্যের অনেকাংশ পরিচালনা করে। কিন্তু চীনের এই ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ উদ্বেগ প্রকাশের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।  

ইত্তেফাক/এফএস