শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বঙ্গবন্ধুর প্রযুক্তি দর্শন ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ

আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ২১:৪৭

ইতিহাসে অবিনশ্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) ছিলেন একজন আধুনিক মানুষ। তিনি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি রচনা করেছিলেন। বিশ্ব তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে প্রবেশের এক দশক পরই ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের জন্ম হয়। রাষ্ট্রদার্শনিক শেখ মুজিব ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, যিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় সদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও পদ্ধতিতাত্ত্বিকভাবে বাস্তবায়ন করতেন। তিনি তাঁর দূরদর্শী চিন্তা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন যে আগামীর বিশ্ব হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর। মূলত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন থেকেই প্রযুক্তি দর্শন উৎসারিত। এ প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তি নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা, ভাবনা, কর্ম ও দর্শন বিশ্লেষণ করা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করেই মানব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ তার ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি—এ প্রত্যয় দুইটি একইসঙ্গে ব্যবহৃত হলেও এদের মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হলো প্রকৃতিকে জানা এবং সত্য উদঘাটন করা। আর প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হলো বিজ্ঞানের অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মানুষের প্রয়োজন মেটানো ও জীবনকে সহজতর করে তোলা। বিজ্ঞান হচ্ছে তত্ত্ব বা সূত্র, আর প্রযুক্তি হচ্ছে ব্যবহারিক বা প্রায়োগিক বিজ্ঞান। বিভিন্ন প্রকার প্রযুক্তির জ্ঞানতাত্ত্বিক দিক, প্রযুক্তির শক্তিকে কিভাবে মানবকল্যাণে ব্যবহার করা যায়, এর ভালো-মন্দ দিক, পরিবেশের ওপর প্রভাব, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর প্রভাব, প্রযুক্তির বণ্টন—ন্যায়, নৈতিক বিষয় প্রভৃতির যৌক্তিক ও বৌদ্ধিক আলোচনাই হচ্ছে প্রযুক্তির দর্শন।

নতুন নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে সমাজসভ্যতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। সভ্যতা বিকাশের ইতিহাসে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বিভিন্ন শিল্পবিপ্লব ঘটেছে। ১৭৬০ সালে বাষ্পীয় শক্তির আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে উৎপাদন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রথম শিল্পবিপ্লব ঘটে। তারপর ১৮৭০ সালে বৈদ্যুতিক শক্তি আবিষ্কারের ফলে দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব এবং ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট আবিষ্কার অর্থাৎ ষাটের দশকে ইন্টারনেট, কম্পিউটার তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলশ্রুতিতে তৃতীয় শিল্পবিপ্লব সাধিত হয়। সর্বশেষ এ শতকের শুরুতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জীবপ্রযুক্তি, ন্যানোটেকনোলজি, রোবটিক্স প্রভৃতি যুক্ত হয়ে শিল্প জগতে আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, দার্শনিক চিন্তা, রাষ্ট্র ভাবনা এবং সমাজচিন্তাসহ সকল চিন্তা-চেতনা ও দর্শনের মূলে রয়েছে বাংলার গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানব সম্পদ গড়তে পারলে বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর প্রযুক্তি দর্শন একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের আলোকে পর্যালোচনা করতে হবে।

বাঙালি জাতির মহান শিক্ষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন শুরু করেন তখন সমগ্র বিশ্বে তৃতীয় শিল্পবিপ্লব চলছিলো। এই ৩য় শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত করে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রযুক্তি দর্শনের অন্তর্নিহিত উপলব্ধি। একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তিনি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী সৃজনশীলতায় দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে, সে লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। তিনি বাংলার মাটি ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি কল্যাণকর জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, যেখানে শিক্ষা হবে আলোকবর্তিকাস্বরূপ ও উন্নয়নের সোপান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক শিক্ষাদর্শনকেই তিনি অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু আজীবন একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে মাত্র সাড়ে তিন বছর রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেশ পুনর্গঠন করেন। এ সময়ে তিনি বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির ভিত্তি তৈরি করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নে (আইটিইউ) সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া ভূ-উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেন, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল বিপ্লবের মূলভিত্তির সূচনা হয়। বেতবুনিয়া ভূ-উপকেন্দ্র মূলত কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে বর্হিবিশ্বের সঙ্গে টেলিফোন ডাটা কমিউনিকেশন, ফ্যাক্স আদান প্রদানের জন্য স্থাপন করা হয়, যা গত শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্থাপনা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আজকে বাংলাদেশে যে অগ্রগতি হয়েছে, তার অধিকাংশ বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে গোড়াপত্তন হয়েছিল। সে সময়ে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বেশকিছু আইন ও অধ্যাদেশ জারি হয় যেমন: বাংলাদেশ এটোমিক এনার্জি কমিশিন আইন, ১৯৭৩; বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদ অধ্যাদেশ, ১৯৭৩; বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউিট আইন, ১৯৭৩ ইত্যাদি।

বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শনে ছিল একটি শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। জাতির পিতা স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের যে কাজ শুরু করেছিলেন সে অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আলোকবর্তিকা হাতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিযাত্রা কবিগুরুর ভাষায়—‘আলোর নৌকা ভাসিয়ে দিয়েছেন আকাশ পানে চেয়ে’। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার এক নবদিগন্ত উন্মোচন করেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রগতি, গঙ্গার পানিচুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি, বয়স্কভাতা চালুকরণ, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্ভোধন, নারীর ক্ষমতায়নসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে সফলতা অর্জন করেন। পরবর্তীতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দিনবদলের ঘোষণা দিয়ে ২০০৯ এ সরকার গঠন করে গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও অনুকরণীয়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ-সমতাভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিনব রূপকল্প তুলে ধরেছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নতুন লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়া, যেখানে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উন্নত বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি ভিত্তি হচ্ছে—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত এবং উদ্ভাবনী। শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক স্বাক্ষরতা অর্জিত হবে, তৈরি হবে পেপারলেস ও ক্যাশলেস সোসাইটি। সর্বোপরি স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা।

স্মার্ট বাংলাদেশ মানেই আধুনিক কারিগরি প্রযুক্তির সর্বাত্মক ব্যবহার নয়। ব্যাপকতর অর্থে ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে স্মার্টনেস বলতে আমরা বুঝবো পুরোনো ধ্যাণ-ধারণার গতানুগতিক চিন্তাভাবনা ত্যাগ করে নতুন নতুন চিন্তাÑচেতনার উন্মেষ ঘটানো, সকল ধরনের কুসংস্কার ও সংকীর্ণতা পরিত্যাগ করে গোঁড়ামিমুক্ত, প্রগতিশীল মানবিক জীবনদর্শন অনুসরণ করা। বিজ্ঞান ও মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তচিন্তার চর্চা, বিজ্ঞান মনস্কতা, চিন্তা-চেতনায় বস্তুনিষ্ঠতা, সংস্কারমুক্ত হয়ে প্রগতিশীল হতে হবে। মূলত, প্রগতি মানেই উন্নয়ন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, মেধা ও মননের উৎকর্ষতা সাধন করা যেখানে ধর্মান্ধতা ও পশ্চাৎপদতার কোন স্থান নেই।  প্রকৃতপক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য দরকার আধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি সহনশীলতা, পরমতসহিঞ্চুতা, নৈতিক ও মানবিক জীবনদর্শনে বলীয়ান হওয়া। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন কিংবা জিডিপি বা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিই একটি জাতির উন্নয়নের সূচক হতে পারে না, এর পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক, সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধন সর্বোপরি মানবিক উন্নয়ন। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি ন্যায়পরায়ণ, মানবিক, বিজ্ঞান ও মেধাভিত্তিক প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাবনা তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম দিক। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক জাতি গঠনের তাগিদ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো ডিজিটাল বিপ্লবের পথ ধরে তাঁর সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবের দর্শন ও আদর্শ শাণিত হবে বাঙালি জাতির অস্থিমজ্জায়। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে Earnest Hemmingway এর উক্তিটি প্রাসঙ্গিক- “Man is not made for defeat. Man can be destroyed, but not defeated.” তিনি বাংলাদেশের প্রভাতসূর্য, ইতিহাসে চিরভাস্কর। বঙ্গবন্ধু শুধু ব্যক্তির নাম নয়, ব্যক্তির ঊর্ধ্বে  সতত জাগ্রত এক অবিনাশী চেতনার নাম। আগামী দিনগুলোতে তারুণ্যের শক্তিই হবে উন্নত বাংলাদেশের পথে আমাদের স্মার্ট অভিযাত্রার অন্যতম সারথি। বঙ্গবন্ধুর প্রযুক্তি দর্শন বিশ্লেষণ ও প্রয়োগ  করে আমরা  বিজ্ঞানভিত্তিক-প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, উদ্ভাবনী সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো শোকের মাসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবির ভাষায়-
                          “তুমি শোক নও, শক্তি
                          সীমার মাঝে অসীম তুমি...
                          তুমি বাঙালির চির মুক্তি।”  

লেখক- সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।

ইত্তেফাক/এসএটি/এবি