বুধবার প্রবল বর্ষণ ও বজ্রপাতের কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দেয় জার্মানির হেসে রাজ্যের বড় একটি অংশে। রানওয়ে ডুবে যাওয়ায় দেশের বৃহত্তম এয়ারপোর্টে দুর্ভোগে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। বুধবার সন্ধ্যা আটটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত রাজ্যের কিছু অঞ্চলের প্রতি বর্গ মিটারে ৬০ লিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
জার্মানির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (ডিডাব্লিউডি) বুধবার বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু তারপর পর্যাপ্ত সময়ের অভাবে ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে যাত্রীদুর্ভোগ এড়ানোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যা আটটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত রাজ্যের কিছু অঞ্চলের প্রতি বর্গ মিটারে ৬০ লিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া দপ্তরকে উদ্ধৃত করে মাত্র এক ঘণ্টায় ২৫ হাজারেরও বেশি বজ্রপাতের খবর দেয় হেসে রুন্ডফুঙ্ক।
প্রকৃতির এই আকস্মিক বিরূপতার প্রভাব জার্মানির সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরেও পড়ে। ফলে রানওয়েতে পানি জমতে শুরুর সময়ে বিমান অবতরণ করলেও যাত্রীরা নামতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতেই ফ্রাঙ্কফুর্টের আকাশসীমার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে বিমান। জরুরি বার্তা পাঠানো হয় সেসব বিমানে। তাতে অন্তত ২৩ টি বিমানের যাত্রীরা মাটিতে নেমেও দীর্ঘক্ষণ বিমানে বসে থাকার দুর্ভোগ থেকে রেহাই পান। সেই বিমানগুলো ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মুখ ঘুরিয়ে গিয়ে নামে অন্য এয়ারপোর্টে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে ৭০টি ফ্লাইট বাতিল করার কথা জানায় ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
তাদের বিবৃতির আগেই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যায়, রানওয়েতে অথৈ পানি, সেই পানিতে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে কিছু বিমান আর তারই পটভূমিতে আকাশে চলছে সশব্দ বিদ্যুৎচমকের আলো-আঁধারি।