বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

হবিগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষ

গুলিবিদ্ধ বিএনপির ৩ নেতা আইসিইউতে, ওসিকে ঢাকায় স্থানান্তর 

আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩, ২২:২২

হবিগঞ্জে গত শনিবার (১৯ আগস্ট) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ বিএনপির ৩ নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। অপরদিকে গুরুতর আহত সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষ নিয়ে বিএনপি ও পুলিশ একে অপরকে দোষারোপ করছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছ জানান, এটি পরিকল্পিত একটি হামলা। পুলিশ শুরু থেকেই উস্কানি দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলের শেষে তারা হঠাৎ আক্রমণ চালায়। তিনি বলেন, আমাদেরকে মেরেছে। নেতা-কর্মীদের গুলি করে আহত করেছে। আমার বাসায় গুলি করেছে। এখন আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। হামলা করে আন্দোলন থামানো যাবে না। 

ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল ও যুবদল নেতা নূর উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটে আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। আরেক যুবদল নেতা আমিন শাহর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, বিএনপি শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিল। কিন্তু হঠাৎই তারা মারমুখী হয়ে উঠে। মূলত তাদের উদ্দেশ্য ছিল থানায় আক্রমন করা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তারা সন্ত্রাসী এনেছে। আমরা প্রথমে সহনশীল ছিলাম। প্রথমে কিন্তু আমরা পিছু হটেছি। কিন্তু তারা একের পর এক আক্রমণ করে চলেছিল। কোনো উপায় না পেয়ে আমরা কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছি। পরিস্থিতি শান্ত করতে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সংঘর্ষে আমাদের অন্তত ৪০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য (রোববার) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। শুরু থেকে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু কর্মসূচি শেষে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তারা হচ্ছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল, যুবদল নেতা আমিন শাহ, নূর উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, মনিরুজ্জামান, অলিউর রহমান অলি, সাইফুল রহমান বাবু, সাবের আহমেদ ও অনিক হাসান। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ইত্তেফাক/পিও