দেশে বিটি তুলার নতুন দুটি জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) মিলনায়তনে দেশে প্রথমবারের মতো বিটি তুলার জাতের অবমুক্ত করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
অন্যান্য জাতের চেয়ে অবমুক্ত হওয়া ভারতের জে কে এগ্রি-জেনেটিক্স লিমিটেডের উদ্ভাবিত জে কে সি এইচ ১৯৪৭ বিটি এবং জে কে সি এইচ ১৯৫০ বিটির ফলনও দ্বিগুণ হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
রোববার (২০ আগস্ট) তুলার নতুন দুই জাত অবমুক্তের সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ২ লাখ বেল। ১৫ লাখ বেল তুলা দেশে উৎপাদন করার সুযোগ আছে। হাইব্রিড ও বিটি তুলার চাষের মাধ্যমে চাহিদা মেটানো যাবে।’
সিডিবির নির্বাহী পরিচালক ফখরে আলম ইবনে তাবিব জানান, তুলা আমদানিতে বছরে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। চলতি বছরের ৭ মে ন্যাশনাল কমিটি অন বায়োসেফটি দুটি জাত অবমুক্তির অনুমোদন দেয়। বিটি তুলার গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৪৫০০ কেজি। বিটি তুলা চাষে উৎপাদন ব্যয় ১২-১৫ শতাংশ কমবে এবং উৎপাদন ১৫-২০ শতাংশ বাড়বে। বিটি তুলা চাষে প্রাকৃতিক দূষণ কম ও কৃষকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তুলা বীজ বপনের আগে-পরে স্বল্পকালীন সবজি, মসলা, ধান ও ডাল আবাদ করা যাবে। তুলা থেকে আঁশ ছাড়াও ভোজ্য তেল, খৈল ও জ্বালানি উপজাত পাওয়া যায়।