শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

আগামী নির্বাচনে জয়ের পথেই মোদি: জরিপ

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ২২:২৫

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে মূল্যস্ফীতি এবং মুদ্রাস্ফীতি। এর প্রভাব প্রতিবেশী ভারতসহ বাংলাদেশেও বিদ্যমান। কিন্তু ভারতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বেকারত্ব বেশি থাকায় ভোটাররা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কিছুটা অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে জনতা। তবে এখনও ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কারণে আগামী বছরের নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে সহজে জয়লাভের পথে রয়েছেন তিনি।

শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডের ‘দ্য মুড অব দ্য নেশন’ শীর্ষক এক জরিপে এমনটাই দেখা গেছে। জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এবং ২৬ টি বিরোধীদলের নতুন জোট ‘ইন্ডিয়ার’ জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। আসন্ন নির্বাচনে তাদেরও ভাল করার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রাহুল গান্ধীর চেয়ে ৩৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন মোদি।

জরিপ অনুযায়ী, ভারতে যদি এখনই নির্বাচন হয় তবে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৫৪২ আসনের মধ্যে ২৮৭টিতে জয় পাবে মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। যদিও দেশটিতে ২০২৪ সালের মে মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে তবে এর আগে কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন হবে।

পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে বিশাল জয় নিয়ে ভারতের ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর জনকল্যাণমূলক অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আগ্রাসী হিন্দু জাতীয়তাবাদ দিয়ে তিনি ক্ষমতা সুসংহত করেছেন।

কিন্তু একইসঙ্গে ভারতে চলতি বছর জুলাইয়ে ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে যার পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৪৪। পাশাপাশি খাবারের দাম সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএনআই

অর্থনীতিবিদদের মতে, আগামী ১০ বছরে ভারতে ৭ কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দরকার। কিন্তু সুযোগ আছে মাত্র ২ কোটি ৪০ লাখের। ইন্ডিয়া টুডে বছরে দুইবার জরিপ চালায়। এবারের জরিপটি ১৫ জুলাই থেকে ১৪ আগস্টে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের ওপর চালানো হয়েছে।

জরিপে দেখা গেছে, ৫৯ শতাংশ মানুষই মোদি সরকারের কাজে সন্তুষ্ট। গত বছরের জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৬৭ শতাংশ। একইভাবে, ৬৩ শতাংশ বলেছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাল কাজ করেছেন মোদি। তবে জানুয়ারিতে ছিল এই সংখ্যা ছিল ৭২ শতাংশ। বিপরীতে ২২ শতাংশ মনে করছে তার পারফরম্যান্স খারাপ ছিল। এই সংখ্যা জানুয়ারিতে ছিল ১৬ শতাংশ।

ইত্তেফাক/এসএটি