বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

টাঙ্গাইলে বিকল্প সড়কও বিকল, সীমাহীন দুর্ভোগ

আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ২০:৩১

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নির্মাণাধীন একটি সেতুর পাশের বিকল্প সড়কটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ওই সড়কে দুটি উপজেলার যানবাহন ও স্থানীয় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় মাসেক খানি ধরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে যাতায়াতকারীরা। 

স্থানীয়দের দাবি সেতু নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের সময় ক্ষেপণ করায় সখীপুর ও কালিহাতী উপজেলার একমাত্র চলাচলের সড়কটিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন লোকজন। বিকল্প সড়কটি উন্নত ও উঁচু না করায় সেটিও পানিতে তলিয়ে গেছে। বিকল্প সড়ক নির্মাণেও ঠিকাদারের গাফিলতি রয়েছে। বিকল্প সড়কটিও বিকল হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। 

ছবি: ইত্তেফাক

সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৭ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণের কাজটি পান হাসান টেকনো লিমিটেড। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ। বিকল্প সড়কের ওপর দুই থেকে আড়াই ফুট পানি। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পণ্যবাহী ট্রাক। জুতা হাতে কোমর সমান পানি ডিঙিয়ে হেঁটে চলাচলা করছে সাধারণ মানুষ। এতে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন উল্টে পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এই পানির ওপর দিয়েই প্রতিদিন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে। সেতুর আশপাশ এলাকায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুটি কলেজ ও একটি মাদ্রাসা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদ হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুর কাজ চলছে, এখন আপাতত বন্ধ। ঠিকাদার ইচ্ছে করলে বর্ষা মৌসুমের আগেই কাজ শেষ করতে পারতো কিন্তু তা তিনি করেন নাই। গত প্রায় এক মাস ধরে নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। ভারী যান তো চলেই না, ছোট-খাটো গাড়িও উল্টে যাচ্ছে! তবুও বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই তারা যাতায়াত করছে।

ছবি: ইত্তেফাক
 
ট্রাকচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, এতো খারাপ অবস্থা জানা ছিলো না। ট্রাক ফেঁসে যাওয়া গাড়িতে অনেক টাকার কাজ করতে হবে। 

সিএনজি চালক লিটন মিয়া বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হয়। মাঝে মধ্যে সিএনজি উল্টে যায়। এসব কার কাছে বলবো আর বলেই লাভ কি? 

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সোহেল রানা বলেন, পানির কারণে সেতুর কাজ বন্ধ আছে আর বিকল্প সড়কটি উচুঁ করে দিবো। কিন্তু পানিতে স্রোত থাকায় সেটিও দেওয়া যাচ্ছে না। সুবিধাজনক সময়ে উঁচু করে দেওয়া হবে।  

সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ কাজের এখনো অনেক সময় আছে। আগামী জুন মাসে এ সেতুর কাজ বুঝে নেওয়া হবে। বিকল্প সড়কটি আরও উঁচু করে নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। স্রোত কমলেই সে কাজটি শুরু করা হবে। 

ইত্তেফাক/পিও