সর্বশেষ ১৯৯০ সালে চুল কেটেছিলেন তিনি। এরপর কেটে গেছে ৩৩ বছর। দীর্ঘ সময়ের এই বিরতিতে চুল বেড়ে হয়েছে ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা। লম্বা কেশের নারী হিসেবে নিজের নাম লেখালেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই নারীর নাম তামি মানিস। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের একজন বাসিন্দা। দীর্ঘতম ‘মুলেট’ চুলের বিশ্ব রেকর্ড এখন তারই দখলে। ‘মুলেট’ চুল রাখার বিভিন্ন ধরনের মধ্যে একটি। কপালের উপরিভাগ ও পাশের চুল ছোট রেখে পেছনের চুলগুলো বেশ কয়েকটি স্তর দিয়ে বড় রাখার ধরনকে মুলেট বলা হয়।
তামি মানিস জানান, সামনের ও পাশের চুল ছোট করলেও ১৯৯০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির পর তিনি পেছনের চুল একবারও কাটাননি। কিশোর বয়স থেকেই মুলেট রাখা শুরু করেন তিনি। আশির দশকের জনপ্রিয় মার্কিন ব্যান্ড ‘টিল টুয়েসডে’ এর এক গানের ভিডিও থেকে তিনি এই অনুপ্রেরণা পান। তিনি আরও জানান, ‘চুল লম্বা রাখার কারণে অন্য রকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। সবচেয়ে অদ্ভুত লেগেছে লোকজন আমাকে এ জন্য বহু বছর ধরে মনে রেখেছে। এমনও হয়েছে ২০ বছর পর দেখা কিন্তু চুলের কারণে চিনে ফেলেছে আমকে।’
লম্বা মুলেট আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর মুলেট চ্যাম্পিয়নশিপ নামে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত বছর এই প্রতিযোগিতায় নারীদের মধ্যে তামি দ্বিতীয় হন। এর কিছুদিন পরই তিনি জানতে পারেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে মুলেট নামে বিশেষ ক্যাটাগরি রয়েছে। বিষয়টি জানার পরই আবেদন করেন তামি মানিস। গিনেস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যাচাই এর পর সম্প্রতি তাঁকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে তামি জানান, পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলেও সার্টিফিকেট পেয়ে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। সনদ হাতে পাওয়ার মুহূর্তটি স্মরণ করে তামি মানিস বলেন, ‘আমি সনদ খুলে দেখার পর পুরোই চমকে যাই। গিনেস কর্তৃপক্ষ যাকে সনদসহ পাঠিয়েছিল, তাঁর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই। এরপরই নিশ্চিত হলাম, সবচেয়ে লম্বা মুলেটের নারীর স্বীকৃতিটি এখন আমার। বিষয়টি সত্যিই অসাধারণ!’