ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় জমি কিনে বিপদে পড়েছেন আলমগীর হোসেন নামের গুরুদাসপুরের এক শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে প্রতারক চক্র। এই চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমিদখলসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এই শিক্ষক।
আলমগীর হোসেন গুরুদাসপুরের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি উপজেলার খুবজিপুরে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যহতির দাবি নিয়ে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছেন এই শিক্ষক।
সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ধানমন্ডির স্কয়ার টাওয়ার ৩-ই, ৩৬/৬ নম্বর এলাকার মরহুম আইয়ুব আলীর মেয়ে সাদেকা সুলতানার (৪০) নিজ নামীয় আর এস ৪২৭ নং খতিয়ানভুক্ত ৬৫৭ নম্বর দাগের ১০ শতাংশ জমি কিনেছেন। জমিটি তিনি ২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কিনলেও চলতি বছরের আগস্ট মাসে তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন সাদেকা তুলতানা। জমি কেনার আগে সাদেকার সঙ্গে প্রবাসী স্বামীর বিচ্ছেদ হয়। এ কারণে জমিটি কেনার সময় তার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে আজমাইন আবরার স্বাক্ষী হিসেবে দলিলে স্বাক্ষর করেছেন।
তিনি বলেন, ১০ শতাংশ জমির মধ্যে ৬.৬০ শতাংশ জমি সাদেকা সুলতানা ও তার ছেলের উপস্থিতিতে গত বছর বিক্রি করা হয়েছে। তখনও এ বিষয়ে সাদেকা সুলতানার কোনো অভিযোগ ছিল না। সাদেকার স্বজন মুরাদকে অর্থনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করতে সাদেকাকে প্রভাবিত করেছেন মুরাদ। এছাড়া সম্মানহানিকর তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশও করিয়েছেন।
শিক্ষক হিসেবে এসব ঘটনা তার জন্য চরম অসম্মানের। তিনি দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে সাদেকা সুলতানা অভিযোগ অস্বীকার করে ইত্তেফাককে বলেন, আলমগীর তার বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। বিভিন্নভাবে তার ওপর জুলুম করেছেন আলমগীর। এমন কি প্রতারণাও করেছেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছেন আলমগীর তা মিথ্যা। সামাজিকভাবে হেয় করতে এবং সম্মামনহানির করতেই আলমগীর তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলছেন।