সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

লিবিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৩০০

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৬

লিবিয়ার উপকূলীয় শহর ডেরনায় ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। লিবিয়া রেড ক্রিসেন্টের বরাতে বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে।

ত্রাণ সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল মেরি এল-ড্রেস জানিয়েছেন, ভূমধ্যসাগরীয় শহরটিতে আরও ১০ হাজার ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লিবিয়ার উপকূলীয় শহর ডেরনা। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে, সবশেষ দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ডেরনায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৫০০ বলে জানিয়েছিল। বনযার পাশাপাশি ঝড়ে দেশটির অন্যান্য স্থানেও প্রায় ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এপির প্রতিবেদন বলছে, ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে সংঘাতে জর্জরিত তেল-সমৃদ্ধ দেশটিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে বন্যা শুরু হয়। এতে অনেক পরিবার ভেসে গেছে।

সেদিন কী হয়েছিল

এপির প্রতিবেদন বলছে, অস্বাভাবিক শক্তিশালী একটি ভূমধ্যসাগরীয় ঝড় পূর্ব লিবিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মারাত্মক বন্যা সৃষ্টি করে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডেরনা শহর, যেখানে দুটি বাঁধ ভেঙে ভেসে যায় বহু মানুষ।

ছবি: সংগৃহীত

ঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার পর বাসিন্দারা জানান, শহরের বাইরে দুটি বাঁধ ধসে পড়লে তারা প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। বন্যার পানি ওয়াদি ডেরনা উপত্যকার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পরে শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে ভবনগুলো ভেঙে পড়েছে এবং লোকজন সমুদ্রে ভেসে গেছে।

অপরদিকে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা এড়ানো যেত।

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) প্রধান পেটেরি তালাস সাংবাদিকদের বলেন, যদি আবহাওয়া রক্ষণাবেক্ষণ স্বাভাবিক থাকতো, তাহলে জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সবাইকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হতো।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তারা আসন্ন ঝড় সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করেছিল এবং একদিন আগেই তারা সমুদ্র থেকে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বাঁধ ভেঙে পড়ার বিষয়ে কোনো সতর্কতা ছিল না।

ইত্তেফাক/এসকে