রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক ভারতীয় সাংবাদিক গীতা মেহতা আর নেই

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক এবং ভারতের ওড়িশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বড় বোন গীতা মেহতা মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। শনিবার ভারতের রাজধানী দিল্লির বাসভবনে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মারা যান তিনি।

৮০ বছর বয়সি গীতা মেহতা মৃত্যুকালে তার ছেলেকে রেখে গেছেন। আর তার প্রকাশক স্বামী সনি মেহতা আগেই মারা গেছেন। গীতা মেহতা বিশিষ্ট লেখক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতাও। তিনি ওড়িশার ব্যবসায়ী প্রেম পট্টনায়কের বড় বোন। বিশিষ্ট বিমানচালক ও সবচেয়ে জনপ্রিয় ওড়িশা নেতাদের একজন বিজু পট্টনায়কের কন্যা গীতা মেহতা ১৯৭০-৭১ সালে আমেরিকান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধবিষয়ক সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন। আর তার সেই অভিজ্ঞতা তিনি তার বহুল প্রশংসিত তথ্যচিত্র ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’-এ বর্ণনা করেছেন। 

১৯৪৩ সালে দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করা গীতা মেহতা ভারতে এবং যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ‘কর্মা কোলা’, ‘স্ন্যাক অ্যান্ড ল্যাডারস’, ‘আ রিভার সূত্র’, ‘রাজ’ এবং ‘দ্য ইটারনাল গণেশা’সহ বহু বিখ্যাত বই লিখেছেন। গীতা মেহতা তার ছোট ভাই নবীন পট্টনায়কের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ভুবনেশ্বরে সফরের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ওড়িশার মানুষ সৌভাগ্যবান যে নবীন পট্টনায়কের মতো একজন মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছেন’।

এদিকে গীতা মেহতার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মোদি বলেছেন: ‘প্রখ্যাত লেখিকা শ্রীমতি গীতা মেহতার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি ছিলেন বহুমুখী একজন ব্যক্তিত্ব, লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তার জ্ঞান এবং আবেগের জন্য তিনি পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং পানি সংরক্ষণের বিষয়েও অনুরাগী ছিলেন।’ ২০১৯ সালে রাজনৈতিক কারণে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার পর গীতা মেহতা সর্বশেষ খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছিলেন। সেই বছরের লোকসভা নির্বাচনে এই পুরস্কার ভুল বার্তা দিতে পারে বলেও সে সময় উল্লেখ করেন তিনি। 

সে সময় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না। তিনি আরো বলেছিলেন, ‘এর কারণ হচ্ছে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এমন সময়ে এই সম্মান মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা দিতে পারে, তাতে ভারত সরকার এবং আমি দুই জনেই বিব্রত হব, যা আমার পক্ষে আরো বেশি দুঃখজনক।’ -এনডিটিভি ও আইএএনএস

ইত্তেফাক/এএইচপি