বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও কবর অপসারণের দাবি 

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৩১

বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ১১৫৬ জনকে ষড়যন্ত্রের নামে হত্যা করে। জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর পরিবারের সদস্যরা। 

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে রংপুর টাউন হল মাঠে মায়ের কান্না সংগঠন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭৭ সালে ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান মিঞার ছেলে মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় সেখানে মায়ের কান্না সংগঠনের আরও সদস্য উপস্থিত ছিলেন। 

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় জাপানি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে একটি অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেন। পরবর্তীতে তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করতেন নিরাপরাধ সামরিক সদস্যদের। রাতের আঁধারে কারফিউ দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর ও বগুড়া কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হতো।

জিয়াউর রহমানের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের কোথায় সমাহিত করা হয়েছে এবং সেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মায়ের কান্না সংগঠনের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি জানানো হয়। সামরিক আদালতে ফাঁসির ঘটনায় বিমান বাহিনীর নিহত সদস্যদের নির্দোষ ঘোষণা, তাদের সঠিক তালিকা প্রকাশ এবং জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করা হয়। 

একই দাবিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মায়ের কান্না সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াতে অগ্নিসন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা যোগ দিবেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে যোগদানের অনুরোধ জানান মায়ের কান্না সংগঠনের নেতারা। 

সংবাদ সম্মলেনের আগে রংপুর টাউন হল মাঠে একটি আলোকচিত্র প্রর্দশনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু।

ইত্তেফাক/এবি