রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৪১

রাজশাহীর-৬ চারঘাট-বাঘার সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নানামুখী উন্নয়ন অব্যহত রয়েছে। এর মধ্যে গত ১৫ বছরে কেবল বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) থেকে ৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলার মঞ্চে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম। 

উপজেলা প্রকৌশলী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে বাঘার দু’টি পৌর সভা, সাতটি ইউনিয়ন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন আফিসসহ বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তরের মাধ্যমে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, কালভাট-ব্রিজ নির্মাণ, খাল খনন, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৭শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভূমিহীন ও অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের ১০টি বাড়ি নির্মাণ বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। 

বাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন। ছবি: ইত্তেফাক
                    
সরেজমিনে সব প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এর মাধ্যমে যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তার সবগুলোয় অত্যন্ত টেকসই। বিশেষ করে নতুন নতুন রাস্তা এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের দৃশ্য একেবারেই বদলে দিয়েছে। আর এ সব রাস্তা পেয়ে দীর্ঘদিন দুর্ভোগে থাকা সাধারণ মানুষ যেন ধড়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস নিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন স্থানীয়  সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে। 

সাধারণ মানুষের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। দুটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পৃথক তিনটি সাব-স্টেশান চালু করায় শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ সক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাকা ভবন নির্মাণ এবং অজপাড়া গায়ে ৩৪০ কিলোমিটার পাকা সড়ক করা হয়েছে। আর এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহারিয়ার আলমের সঠিক সিদ্ধান্ত ও দক্ষতার কারণ। তারা আরও বলছেন, উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতার কারণে অত্র অঞ্চলের মানুষ ফের শাহরিয়ারকেই মূল্যায়ন করবে। এসব উন্নয়নে বাঘার বিভিন্ন পরিবহন চালক, ব্যবসায়ী মহল ও কৃষকরা খুশি হয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

বাঘা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। ছবি: ইত্তেফাক

বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, বাঘা উপজেলার পদ্মা নদী এলাকা এখন নান্দনিক স্পটে পরিণত হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে সাড়ে ৭শ কোটি টাকা ব্যয়ে চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর থেকে বাঘার কিশোপুর ঘাট পর্যন্ত ব্লক বাঁধায় ও নদী ড্রেজিং প্রকল্প চলমান। এখন প্রতিদিন বিকালে অত্র এলাকার শত-শত মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে প্রাকৃতিক সোন্দর্য  উপভোগ করেেত পদ্মার পাড়ে যান। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ঈশ্বরদী থেকে চারঘাট-বাঘা হয়ে বানেশ্বর পর্যন্ত কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে (রাজশাহী) হাইওয়ে রাস্তা নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা-বাণিজের প্রসার বৃদ্ধিসহ তাদের জীবনমান একেবারে বদলে দিয়েছে। 

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহারিয়ার আলম বলেন, বাঘা-চারঘাটের তৃণমূল লোকজনের চাহিদা বিবেচনা করে তিনি একের-পর এক উন্নয়ন করে গেছেন। বর্তমানে এই দুই উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ এমন একটি এলাকা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে পাকা রাস্তা কিংবা স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। তার মতে, এগুলোর সব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কারণে।  

বাঘা-আড়ানী প্রধান সড়ক। ছবি: ইত্তেফাক

তিনি বলেন, শুধু চারঘাট-বাঘা নয়, বর্তমান সরকার গত ১৫ বছর সারা দেশে যে উন্নয়ন করেছে তা বিগত কোনো সরকার করতে পারেনি। তিনি গর্ব করে বলেন, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা যদি আগামীতে পুনঃরায় সরকার গঠন করতে পারি তাহলে এ সব উন্নয়ন চলমান থাকবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াসহ জাতির পিতার সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

ইত্তেফাক/পিও